১০ পয়েন্টে চোখ ক্যারিবিয়ানদের

করোনা ইস্যুতে প্রথম সারির ক্রিকেটাররা সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলে খর্ব শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মূল ক্রিকেটাররা না আসলেও বাংলাদেশ সফরে স্বাগতিকদের হোয়াটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়েই এসেছিলো সফরকারীরা। তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন সুপার লিগের অন্তত ১০ পয়েন্ট পেতে লড়বে তাঁর দল।

সিরিজের দুটি ম্যাচেই সহজে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশি স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২২ রান করে ৬ উইকেটে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৮ রান করে সফরকারীরা হেরেছে ৭ উইকেটে।

মিরপুরের স্পিন সহায়ক উইকেট প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ান বোলাররা সুবিধা পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের সহজেই খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আর মন্থর উইকেটে দুই ম্যাচেই বিবর্ণ ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। তবে তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের উইকেট সব সময়ই কথা বলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে।

তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ আশাবাদী বোলারদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেবে ব্যাটসম্যানরা। সিমন্স বলেন, ‘আমরা ১২২ থেকে ১৪৮ পর্যন্ত গিয়েছি। কিন্তু আমাদের করতে হবে ২৩০-২৫০। তাহলেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। বোলারদের জন্য কিছু করার থাকবে, সাহস নিয়ে খেলা যাবে।’

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাছাইপর্ব পার হয়ে মূল পর্বে খেলতে হয়েছিলো তাদের। তাই ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে চায় তারা। আর সরাসরি খেলতে হলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজের প্রতিটা ম্যাচও সুপার লিগের অংশ। তাই সিমন্সের লক্ষ্য অন্তত ১০ পয়েন্ট অর্জন করা।

ক্যারিবিয়ান কোচ বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম ৩০ পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে। এখনও আমাদের এই প্রতিযোগিতার ১০টি পয়েন্ট নেয়ার সুযোগ আছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ১০ পয়েন্ট। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার উন্নতির ধারা বজায় রাখা।’

গত দুই ম্যাচে সাত জন ক্রিকেটারকে অভিষেক করিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম সারির ক্রিকেটাররা আসলেও এদের ভিতর সবারই সুযোগ আছে ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার। এমনকি পরের সিরিজেও। তাই ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স চান সিমন্স।

তিনি বলেন, ‘এটা আসলে আমার চেয়ে দলেরই বেশি দরকার। নতুনদের জন্য সুযোগ তারা এই লেভেলে কি করতে পারে দেখিয়ে দেয়ার। এখান থেকে তারা ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের নাম তুলতে পারে। জায়গা করে নিতে পারে শ্রীলঙ্কা সফর কিংবা বছরের শেষভাগে অন্য খেলাতেও। কিভাবে তারা তৈরি হয় এটা দেখতে পারা ভালো ব্যাপার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link