এখনও ডু প্লেসির দু:স্বপ্নে আজমল

ডু প্লেসিস পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। এর ভিতর ২০১৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তরুণ ডু প্লেসিসকে ৪ বার আউট করেছেন আজমল। এখনো তা স্পষ্ট মনে আছে ডু প্লেসিসের।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলবে প্রোটিয়ারা। উপমহাদেশে টেস্ট ম্যাচ মানেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্পিন সহায়ক উইকেট বানানো। পাকিস্তানের বর্তমান স্কোয়াডে তিন স্পিনার থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি যে স্পিনারকে ভয় পেতেন তিনি ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক আগেই।

ক্রিকেটে একক ব্যাটসম্যানের হন্তারক হয়ে ওঠা কোনো বোলারের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়।

বাংলাদেশেই এরকম দুটো উদাহরণ আছে। ক্রিস গেইল একসময় বাংলাদেশি স্পিনার সোহাগ গাজীর বলে বারবার উইকেট বিলিয়ে আসতেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান হিটমায়ার আউট হয়েছিলেন ৬ বার। এমন জুজু ছিল ফ্যাফ ডু প্লেসিসেরও।

পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসিস জানিয়েছেন, সাবেক পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমলকে এতোটাই ভয় পেতেন তিনি যে ঘুমের মাঝেও দেখতে পেতেন আজমল তাকে বল করছেন।

ডু প্লেসিস বলেন ‘আমার মনে আছে, যখনই ব্যাট করতে যেতাম দেখতাম সাঈদ আজমল বল করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। মাঝেমাঝে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যেত এবং দেখতাম সে আমাকে বল করছে।’

ডু প্লেসিস পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। এর ভিতর ২০১৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তরুণ ডু প্লেসিসকে ৪ বার আউট করেছেন আজমল। এখনো তা স্পষ্ট মনে আছে ডু প্লেসিসের। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজমল বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। উপমহাদেশের কন্ডিশনে আমি তখন একদমই নতুন।’

এবার আজমল না থাকলেও ইয়াসির শাহ এর মত বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন লেগ স্পিনার আছে পাকিস্তানের স্কোয়াডে। যিনি কিনা একই জায়গায় টানা বল করে ডট দিয়েই ব্যাটসম্যানকে ধৈর্য্যহারা করতে পারেন। তাই এবার ইয়াসির শাহকে নিয়ে ভয়ে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসি।

ডু প্লেসিস বলেন, ‘আমাদের এক-দুই রানের চাকা সচল রাখার দুই-তিনটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু স্পিনাররা যখন টানা ভালো বোলিং করে ডট আদায় করতে থাকে তখন নিজেকে (ব্যাটসম্যান) বন্দী মনে হয়। আর এই কাজে ইয়াসির শাহ ভীষণ পটু। একই জায়গায় বোলিং করে থিতু হয়ে প্রতিপক্ষের উপরে চড়াও হয় সে। বলের উপরে তার খুব ভালো নিয়ন্ত্রন রয়েছে।’

আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে স্বাগতিক পাকিস্তান ও সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস আক্রমণের কারণে তাদের পিচ পুরোপুরি স্পিন সহায়ক না হলেও ইয়াসির শাহ এর সাথে স্কোয়াডে আছেন স্পিনার নোমান আলী এবং মোহাম্মদ নেওয়াজ। তবে ভয় পেলেও উপমহাদেশের কন্ডিশনে বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবেই দেখছেন ডু প্লেসিস।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশে এসে স্পিনারদের দিক থেকে ভাবলে আমাদের মতই দেশের মত তত্ত্বই ঘটে যায়। আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকাতে খেলি সেখানে পেসারের বলের লাইন আঁচ না করতে পেরে বেরিয়ে গেলে তাকে ভালো বল বলে গণ্য করি। আর উপমহাদেশে যখন একজন একজন স্পিনারের ঘূর্ণি বুঝে ওঠার আগেই বেরিয়ে যায় সেটিও একটি ভালো বল। অপরপক্ষে যদি লাইন বুঝে ব্যাটে বল নিয়ে আসা যায় তবে এটি ব্যাটসম্যানের কৃতিত্ব যে সে ভালো খেলেছে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...