ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ধুঁকছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠেও জয়ের দেখা নেই। বাধ্য হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিয়েছে কিছু রুঢ় সিদ্ধান্ত। সে সকল সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলেছে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার উদ্রেক ঘটিয়েছে।
১৩ই অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। যেখানে সরব উপস্থিতির প্রমান দেয় নব্য নির্বাচক প্যানেল। নেপথ্যে বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ বা সরফরাজ আহমেদের মত অভিজ্ঞ সব তারকাদের ছাঁটাইয়ের ঘটনা।
বাতাসে প্রথম টেস্ট না খেলা মীর হামজার ছাঁটাইয়ের গুজবও চলছিল। ঐদিকে বাদ দেবার ঘটনায় শাহিন আফিদি জ্বর ঠাণ্ডাতে পড়া শাহিন আফ্রিদিরও চোখ ওঠে মাথায়। ভেবেছিলেন কেবল এক ম্যাচ থাকবেন মাঠের বাইরে সে জায়গায় পুরো সিরিজেই আর দেখা যাবে না তাকে।
দুই ম্যাচ বাদে তার অবাক হওয়া যদিও কিছুটা অমূলকই। একে তো জ্বর। তারপরে আবার দ্বিতীয় টেস্টে পিচ স্পিনবান্ধব হবার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে নাসিমের বাদ হওয়া কেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। যদিও নাসিমের কাঁধে ইনজুরি। তবে সেটাও বেশ হালকা চোট। সতীর্থ শাহীনের মতো তিনিও ভেবেছিলেন এক ম্যাচ বাদ হবার কথা। তাই বিচলিত সিরিজ-জুড়ে ছাঁটাইয়ে।
কোলাহল আরও জোড়ালো হয় যখন কোচ বা অধিনায়কের সমর্থন ছাড়াই বাবর আজমকে দল ছাড়া করা হয়। এমনকি বাবরও দলের হয়ে মাঠ মাতাতে ছিলেন সদা প্রস্তুত। যা নির্বাচক প্যানেল আর দলের মাঝে যোগাযোগ দুর্বলতাকেই আবারও নির্দেশ করে।
সবশেষ সরফরাজের বাদ হয়ে যাওয়া তাদের সিদ্ধান্তকে আরও প্রশ্নের জালে জড়িয়ে ফেলে। কায়েদে আজম ট্রফিতে দারুণ ছন্দে ছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। যিনি একেবারে সুযোগই পেলেন না নিজেকে মেলে ধরার।
একে তো ঘরের মাঠে নেই কোনো টেস্ট জয়। তারপরে আবার নির্বাচকদের নব্য হঠকারিতা। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কারই বলা চলে, বোর্ড কক্ষ ও সাজঘরের এই ঘোলাটে পরিবেশেই দলের অবস্থা এমন শোচনীয়। যা হতাশার এক পর্দায় পাকিস্তান ছেয়ে ফেলেছে গোটা পাকিস্তান ক্রিকেটকে।