গত দেখায় ইতিহাদ ড্রয়ের স্বাদ পেয়েছিল আর্সেনাল, ম্যাচ শেষে কিছুটা বিদ্রুপের ভঙ্গিতেই আর্লিং হাল্যান্ড বলেছিলেন ‘স্টে হাম্বল’। তাই বোধহয় আর্সেনাল এবার ঘরের মাঠে পাঁচ গোল দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকেই ব্যঙ্গ করলো। সেই সাথে মাইলেস লুইস-স্কেলি হাল্যান্ডের মত ধ্যানে বসে তাঁকে যেন বিনয়ী হতে শেখালেন।
প্রিমিয়ার লিগে শেষ পাঁচ ম্যাচে চার জয়, এক ড্র – হারিয়ে ফেলা আত্মবিশ্বাস খানিকটা হলেও ফিরে পেতে শুরু করেছিল ম্যানসিটি। কিন্তু আবারো ভেঙেচুরে গেলো সব। তিল তিল করে জমানো আত্মবিশ্বাসের ঝুলি ছিনিয়ে নিয়ে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিলো আর্সেনাল।
সাম্প্রতিক ফর্মে গানার্সরা কিছুটা এগিয়ে ছিল বটে, তবু ম্যাচে লড়াই হবে সমানে সমানে সেটাই ধারণা করেছিল ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু পেপ গার্দিওলাকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখালেন তাঁরই একসময়ের সহকারী মিকেল আর্তেতা। ট্যাকটিক্সের ঝনঝনানিতে তিনি দাঁড়াতেই দিলেন না নিজের সাবেক গুরুকে।
এই নিয়ে গার্দিওলার বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত আছেন আর্তেতা, কোচ হিসেবে দুইটা জয়ের পাশাপাশি তিনবার ড্র করতে পেরেছিলেন তিনি। স্প্যানিশ কিংবদন্তির বিপক্ষে এমন রেকর্ড আছে কেবল দু’জন কোচের – টমাস টুখেল এবং ইয়ুর্গেন ক্লপের। আর্তেতার জন্য রেকর্ডটা কত বিশেষ সেটা আর বলার মানে হয় না।
এদিন গানার্স কাপ্তান মার্টিন ওডেগার্ড শুরুতেই এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে, ঘড়ির কাঁটা তখনো দুই মিনিট পার হয়নি। এর মধ্য দিয়ে দুই মাসের গোলখরা কাটালেন তিনি। যদিও গোল বন্যার সূচনা হয় দ্বিতীয়ার্ধে, বিরতির পর আর্লিং হাল্যান্ড সমতায় ফেরান ম্যানসিটিকে। আর সেটাই খেপিয়ে তুলেছিল স্বাগতিকদের।
গোল হজমের স্রেফ ৩৮ সেকেন্ডের মধ্যে থমাস পার্টে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে জাল কাঁপিয়ে দেন। এরপর একে একে মাইলেস লুইস স্কেলি, কাই হাভার্টজ এবং ইথান নোয়ানেরি গোলের দেখা পান। তাতেই নিশ্চিত হয় আর্সেনালের বিশাল জয়, একই সাথে পয়েন্ট টেবিলে লিভারপুলকে চাপে রাখার দৌড়ে টিকে থাকলো তাঁরা।