ডি ভিলিয়ার্সকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিল দিল্লী!

ব্যাটিং আগ্রাসনের ধারক কিংবা বাহক, দুটোই সঙ্গী তাঁর নামের পাশে। এখনও এ বি ডি ভিলিয়ার্সের নাম উচ্চারিত হলে, ভেসে ওঠে গোলাপি জার্সি গায়ে জোহানেসবার্গ উন্মাতাল করে দেওয়ার দৃশ্য। ২০১৫ সালে সেদিন ৩১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ভিলিয়ার্স, ভেঙেছিলেন ওয়ানডেতে দ্রুততম শতকের কোরি অ্যান্ডারসনের রেকর্ড। 

ওয়ানডে থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বিশ্বায়নে এরপর ডি ভিলিয়ার্স এগিয়ে গিয়েছেন দারুণ প্রতাপে, সম্মুখ গতিতে। ক্রিকেট ছেড়েছেন বেশ কিছুদিন হয়েছে। আইপিএলের মঞ্চেও ‘ভিলিয়ার্স ঝড়’ এখন স্মৃতির নাম। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন অনেকটা বছর।  আর তারই প্রোটিয়া এ ক্রিকেটার পেয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর ‘হল অব ফেম’ পুরস্কারও। 

সব মিলিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারে একবারও শিরোপা না জিতলেও এ বি ডি ভিলিয়ার্স যে পরিমাণ ভারতীয় দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন, তাতেই পূর্ণতা খুঁজে নেন এ ক্রিকেটার। তবে আইপিএল নিয়েও একটা মনঃকষ্ট রয়েছেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি। ব্যাঙ্গালুরুর আগে খেলেছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। আর সেই দল নিয়েই তাঁর রয়েছে তিক্ত এক স্মৃতি। বহু বছর বাদে এবার সেই তিক্ততার কথাই সামনে এনেছেন এ ক্রিকেটার। 

MOHALI, INDIA – MARCH 13: AB De Villiers of the Delhi Daredevils gets a shot away during the 2010 DLF Indian Premier League T20 group stage match between the Kings XI Punjab and the Delhi Daredevils played at the Punjab Cricket Association Stadium on March 13, 2010 in Mohali, India. (Photo by Robert Cianflone-IPL 2010/IPL via Getty Images)

নিজের ইউটিউট চ্যানেলে এক যুগ আগের সেই স্মৃতি টেনে তিনি বলেন, ‘২০১০ সালেও আমি দিল্লির হয়ে খেলেছি। তবে পরের নতুন ভাবে নিলাম হওয়ার কথা। কিন্তু দিল্লির ফ্রাঞ্চাইজি আমাকে কথা দিয়েছিল যে, তাঁরা আমাকে রিটেইন করবে। সেই মিটিংয়ে আমার সাথে ডেভিড ওয়ার্নারও সাথে ছিল। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক বাদে আমি খুব বিস্মিত হলাম তালিকা দেখে। তাঁরা আমাকে রিটেইন না করে, রিলিজ করে দিয়েছে। এটা খুবই বাজে অনুভূতি ছিল।’

তবে ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন এবি। আর তার বদৌলতে তিনি নজরে পড়েন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। এটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ঐ নিলামটা আমার জীবন পাল্টে দিয়েছিল। খবরটা পেয়েছিলাম টুইটার থেকে। এরপর আমি কল পাই বিরাট কোহলির কাছ থেকে। আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। তবে এই দলটার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি দারুণ সময় কাটিয়েছি।’ 

প্রসঙ্গত, দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পর টানা ১১ মৌসুম ব্যাঙ্গালুরুর হয়েই খেলেন ভিলিয়ার্স। আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৮৪ ম্যাচের মাঝে ১৫৬ টা ম্যাচই তিনি খেলেছেন এই ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে। আর এই দলের হয়ে খেলাকালীনই তিনি মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি তকমা পেয়েছিলেন। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে প্রোটিয়া এ ব্যাটারে ব্যাটিং পরিসংখ্যানও বেশ দুর্দান্ত। 

১৪৪ ইনিংসে ৪১.২০ গড়ে ৪৪৯৫ রান করেছেন। আর এ সময়ে তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৮.৬৪। এই সংখ্যা কতটা দুর্দান্ত তা বুঝা দিল্লির হয়ে খেলার সময়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণে। ২৬ ইনিংসে ৬৭১ রান করেছিলেন দিল্লির হয়ে। তবে সে সময়ে তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ১১৭.৩১। 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link