শত ফার্স্ট ক্লাস, শূন্য টেস্ট

ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়ে থাকে। এখানে ভালো খেলাটাও বেশ কঠিন। কিন্তু সবসময় প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ভালো করাটাই শেষ কথা হয় না। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা শতাধিক প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে কখনোই টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট হলো ঘরোয়া ক্রিকেটের এক সন্মানজনক আসর।

যেকোনো দেশ তাদের টেস্ট দল গঠনের জন্য এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বড় বড় সব টেস্ট ক্রিকেটারা এসেছেন এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। যেকোন দেশের নির্বাচকরা টেস্ট দল ঘোষণার আগে এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উপরই নির্ভর করে থাকে।

ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ন হয়ে থাকে। এখানে ভালো খেলাটাও বেশ কঠিন। কিন্তু সবসময় প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ভালো করাটাই শেষ কথা হয় না। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা শতাধিক প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে কখনোই টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি। তাঁদেরকে আজকের এই আয়োজন।

  • ইউসুফ পাঠান

সম্প্রতি ইউসুফ পাঠান সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানান। তিনি মূলত পরিচিত তাঁর হার্ড হিটিং ব্যাটিংয়ের জন্য। এক সময় ভারতীয় জাতীয় দলের নিয়মিত মূখ ছিলেন ইউসুফ পাঠান। তিনি ভারতের হয়ে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফর্ম করার পরও টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারেননি তিনি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ঠিক ১০০ ম্যাচ খেলেছিলেন ইউসুফ পাঠান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছিলেন ৪৮২৫ রান এবং বল হাতে নিয়েছিলেন ২০১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশ কার্যকর একজন অলরাউন্ডার হবার পরও জাতীয় দলের হয়ে কখনো টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি।

  • দেবেন্দ্র বুন্দেলা

দেবেন্দ্র বুন্দেলা ছিলেন রঞ্জি দল মধ্য প্রদেশের অধিনায়ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। তিনি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের এক পরিচিত মুখ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ এর উপরে ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে কখনো জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলা হয় নাই তাঁর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানান তিনি।

দেবেন্দ্র বুন্দেলা তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১৬৪ ম্যাচ। এখানে ৪৩.৬৮ গড়ে ২৩ সেঞ্চুরি এবং ৫৩ হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১০,০০৪ রান।

  • অমল মজুমদার

ধারণা করা হয় ভারতের যেসব ক্রিকেটার কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি তাদের মধ্যে সেরা ক্রিকেটার হলেন অমল মজুমদার। তিনি নিয়মিত মুম্বাই দলের পারফর্ম করতেন। তারপরও তিনি কখনো ভারতীয় জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এসে আন্ধ্রা এবং আসামের হয়ে খেলেছিলেন।

অমল মজুমদার তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭১ ম্যাচ খেলেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৮.১৩ গড়ে করেছিলেন ১১,১৬৭ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ৩০ সেঞ্চুরি এবং ৬০ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, ফিল্ডার হিসেবেও বেশ দূর্দান্ত ছিলেন। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিল্ডার হিসেবে ১৬২ ক্যাচ নিয়েছিলেন। এতো দূর্দান্ত পারফর্মেন্সের পরও জাতীয় খেলতে পারেননি অমল মজুমদার।

  • রজত ভাটিয়া

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আন্ডাররেটেড অলরাউন্ডার ছিলেন রজত ভাটিয়া। তিনি আইপিএলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে বেশ দূর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। কলকাতা প্রথম আইপিএল জেতাতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা ছিলো রজত ভাটিয়া।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রজত ভাটিয়া খেলেছিলেন দিল্লি,তামিলনাডু এবং উত্তরাখান্ড প্রদেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ১১২ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৬৪৮২ রান এবং বল হাতে নিয়েছিলেন ১৩৭ উইকেট। ২০১৯ সালে মিজোরামের বিপক্ষে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন রজত ভাটিয়া।

  • অশোক ডিন্ডা

অশোক ডিন্ডা বাংলা রঞ্জি দলের অন্যতম সেরা পেসার। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রায় ২৩ হাজারের উপরে বল করেছেন।

অশোক ডিন্ডা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ১১৬ ম্যাচ। এতে শিকার করেছেন ৪২০ উইকেট। ডিন্ডার ইকোনমি রেট ছিলো ৩.০৯।

অশোক দিন্দা ভারতের হয়ে খেলেছিলেন ১৩ ওয়ানডে এবং ৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। রঙিন পোশাকে ভারতে হয়ে খেলতে পারলেও সাদা পোষাকে কখনো ভারতের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি অশোক ডিন্ডা। সম্প্রতি তিনি সব রকমের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...