একটু খাটো লেন্থের বাউন্সি বল। ব্যাটের সমীহ করলেন। আর ওয়াইডিশ ইয়োর্কার বলটি শামীম পাটোয়ারী চেজ করতেও চাইলেও হয়েছেন ব্যর্থ।
দুইটি ভিন্ন বল, দুইটি ভিন্ন সময়ে করা ভিন্ন দুই বোলারের। প্রথমটি শরিফুল ইসলাম করেছেন ইনিংসের শুরুতে। দ্বিতীয়টি তাসকিন আহমেদ ছুড়েছেন ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে।
দূর্দান্ত ঢাকার দুই তুরুপের তাস শরিফুল ও তাসকিন। এই দুইজনের উপরই থাকছে ভরসা। ঢাকার বোলিং আক্রমণ অনেকটাই নির্ভরশীল তাসকিন-শরিফুলদের উপর। জাতীয় দলের দুই নিয়মিত মুখ নিশ্চিতরুপেই থাকবেন ঢাকার একাদশে।
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও দূর্দান্ত ঢাকার মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া, দলের রসায়ন পোক্ত করতেই দুই ফ্রাঞ্চাইজির একটু বাড়তি আয়োজন। প্রস্তুতি ম্যাচেও তাসকিন শরিফুল দুইজনই পূর্ণ করেছেন নিজেদের কোটা।
শুরুর দিকে তাসকিন খানিকটা ছন্নছাড়াই ছিলেন। সেটা হওয়াই যেন স্বাভাবিক। বিশ্বকাপের পর ইনজুরির কারণে লম্বা সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। দীর্ঘদিন বাদেই যে ফিরেছেন তিনি মাঠে। তাইতো লাইনলেন্থ খুঁজে পেতে খানিক বেগ পোহাতে হয়েছে তাকে।
তবে ভিন্ন চিত্র ছিল শরিফুলের ক্ষেত্রে। তিনি বরং ঝুলিতে থাকা সবরকম অস্ত্রই বাজিয়ে দেখেছেন এক এক করে। সে যাত্রায় দ্রুত উইকেটের দেখাও পেয়ে যান শরিফুল। রনি তালুকদারের উইকেটটি জমা পড়ে তার ঝুলিতে।
উইকেটের ট্যালি শূন্য থাকেনি তাসকিনেরও। সময়ের সাথে সাথে নিজের ছন্দ ফিরে পেতে শুরু করেন। ডেথ ওভারে তো রীতিমত কোণঠাসা করেছেন রংপুরের ব্যাটারদের। ডেথ ওভারে বৈচিত্র্যের ঝুড়ি খুলে আটকে রেখেছেন রানের গতি।
যদিও সোহান-শামীমদের আগ্রাসনে ইকোনমি রেটের খানিল বেহাল দশা হয়েছে দুইজনেরই। শরিফুল ১২ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে রান হজম করেছেন। তাসকিনের রান খরচের হার ৯ এর একটু বেশি। যদিও এটা কেবলই প্রস্তুতি ম্যাচ। তাইতো ব্যর্থতা থেকেও প্রাপ্তির হিসেব করাটা সমীচীন।
তাসকিন এবং শরিফুল, এই দুইজনের গুরুদায়িত্ব থাকছে ঢাকার সাফল্য এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে। সে কাজটা কতটুকু তারা করতে পারবেন তার একটা আন্দাজ করে নিতে পারলেন। পাশাপাশি নিজেদের বোলিং অস্ত্রগুলো ঠিক কতটুকু কার্য্যকর সেটারও একটা পরিষ্কার চিত্রের দৃশায়ন করে নিতে পারলেন শরিফুল ও তাসকিন জুটি।। নিজেদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেই তবে মূল আয়োজনে মাঠে নামার সুযোগটা পেলেন তারা। এবার এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবার পালা।