চান্দিকা হাতুরুসিংহে, বাংলাদেশ দল জুড়ে যার প্রবল আধিপত্য। যিনি প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ দলকে বানিয়ে রেখেছিলেন নিজের স্বেচ্ছাচারিতার ক্ষেত্র। এতো আন্দোলন পদত্যাগের মুখেও নিজের জায়গায় ছিলেন অনড়। কিন্তু হুট করে দাবার চাল উল্টে যাওয়ায় নড়বড়ে অবস্থা রাজার।
সরকার পরিবর্তনের সাথেই বিসিবির পদ ও পরিচালনা বিভাগেও ব্যাপক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু অসংখ্য জনের বিষচক্ষু হাতুরুসিংহে কি এবার বিদায় হবেন! সবটা জুড়ে নিজে ছিল চুপচাপ, চেয়েছিলো আরেকবার দলের সাথে টিকে যেতে।
চারপাশ জুড়ে গুঞ্জনের ডালপালা বিসিবির সভাপতি হতে যাচ্ছেন বিসিবির সাবেক নির্বাচক ফারুক আহমেদ। সরকারের তরফ থেকে এমন প্রস্তাব আছে বলে তিনি নিজেই শিকার করেছেন। এছাড়া শোনা যাচ্ছে পদ পেতে পারেন তামিম ইকবালও। এমনকি বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বিসিবি কার্যালয়ে দেখা গেছে সাবেক এই অধিনায়ককে। আর এমনটা হলে চাকরি খোয়া যাবে হাথুরুসিংহের এটা বলাই চলে।
এমন পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন এই কোচ। জানিয়েছেন তার কোনো ধারণা নেই বিসিবিতে কী চলছে। তবে ভবিষ্যতের কথা বললে, যত দিন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ আছে, তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আর যদি বোর্ড বদলে যায় বা তারা যদি পরিবর্তন চায়, তাতে তার কোন সমস্যা নেই। বোর্ড যদি তাকে চালিয়ে নিতে বলে, তাকে নিয়ে খুশি থাকে, তবে সেও খুশি মনে দায়িত্ব পালন করবেন।
অর্থাৎ যতই মুখে বলুক তার কোনো ধারণা নেই ফারুক আহমেদ ফিরলে পদত্যাগ করতে হবে তাকে বুঝে গেছেন কোচ। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন? কারণ ফারুক আহমেদের সাথে হাতুরুসিংহের সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। চান্দিকা হাতুরুসিংহে আগের মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ যখন তখন প্রধান নির্বাচক ছিলেন ফারুক আহমেদ।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ফারুক, কারণ ছিল দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোচের, ম্যানেজারের সরাসরি সম্পৃক্ততা মেনে নিতে পারেননি ফারুক, তিনি বলেছিলেন নিজের পছন্দ অনুযায়ী দল গঠন করে হাতুরুসিংহে। নির্বাচক হিসেবে প্রভাব মুক্ত ও স্বাধীনতা না থাকার কারণে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে আবার দলের কোচ হয়ে আসায় শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ফারুক। কিছু দিন আগেও বলেছিলেন কোচ হাতুরুসিংহের কারণেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি হবে দলের। হাতুরু নাকি কোচিং প্যানেলও গঠন করতো নিজের পছন্দ অনুযায়ী। বলেছিলেন দল জুড়ে নিজের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাতুরু।
দলের মধ্যে ভাঙনেও একটা বড় কলকাঠি ছিল হাতুরুসিংহের এমনটাও শোনা যায়। এবার দেখার বিষয় হাতুরু অধ্যায় কবে শেষ করতে পারে বাংলাদেশ।