বরিশালের সবাই অধিনায়ক

ফরচুন বরিশাল দলে আসলে সবাই অধিনায়ক। সবাই না আসলে, কিন্তু দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররাই বরিশালের লিডারশিপ ইউনিট।

ফরচুন বরিশাল দলে আসলে সবাই অধিনায়ক। সবাই না আসলে, কিন্তু দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররাই বরিশালের লিডারশিপ ইউনিট। সেখানে তামিম ইকবাল তো অবধারিত ভাবেই আছেন। আরও আছেন দুই সিনিয়র – মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আবার অভিজ্ঞতা বিবেচনা করলে মোহাম্মদ নবীকেও এখানে রাখাই যায়।

চিটাগং কিংসের বিপক্ষে নবম ওভার শেষে স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের ডাক আসল। সবাই ফিরলেও মাঠে ফিরলেন না তামিম ইকবাল। স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন তাই মুশফিকুর রহিম। তিনিই ফিল্ডিং সেট করলেন। বরিশালের ম্যাজিকটা এখানেই। এখানে সবাই অধিনায়ক। একজন না থাকলে, মাঠের বাইরে থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না। দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যান অনেকেই।

ফরচুন বরিশালের ম্যানেজমেন্টও এই ম্যাজিকটা জানেন। তাই তো দল গঠনে সব সময়ই সিনিয়রদের ওপর ভরসা রাখে দল। তামিম, রিয়াদ ও মুশফিক – তিন পঞ্চপাণ্ডব তাঁদের মধ্যমণি। এই আসরের পুরোটা সময় আবার মোহাম্মদ নবীও খেলে যাচ্ছেন।

শুধু, তামিম মাঠে নেই বলে নয়। উইকেটের পেছন থেকে মুশফিকের ফিল্ড সেট করাটা বাকি অনেকের থেকে সহজ। সেই কাজটায় তিনি বরাবরই সাহায্য করেন বরিশাল দলকে। এর ফলে অধিনায়ক তামিম অনেকটাই নির্ভার থাকার সুযোগ পান।

মুশফিক, তামিম ও রিয়াদ এক সাথে খেলছেন অনেকদিন হল। জাতীয় দলে লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিয়েছেন। সেই হিসাব করলে এক সাথে খেলছেন প্রায় ১৫-১৬ বছর। তাঁদের বোঝাপড়া ভাল হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সেই স্বাভাবিক বিষয়টা কাজে লাগিয়েই সাফল্য পাচ্ছে ফরচুন বরিশাল।

একটা দল যখন চারবার বিপিএলে অংশ নিয়ে চারবারই কোয়ালিফায়ার খেলে, একবার চ্যাম্পিয়ন ও একবার রানার আপ – তখন কিছু একটা ম্যাজিক তো আছেই। আর সেই ম্যাজিকটাই হল এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সিনিয়ররাই দলটির প্রাণ-ভোমরা।

Share via
Copy link