এমবাপ্পে ম্যাজিক, ১৬ বছরের অভিশাপ জয়

২-১ গোলের এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো তাঁরা। ২০০২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের পর ফ্রান্সই প্রথম দল যারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে নকআউট পর্বে উঠল।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গত তিনটি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের দু:সহ স্মতি পেছনে ফেলে ফেভারিটের মতই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে তাঁরা। ২-১ গোলের এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো তাঁরা। ২০০২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের পর ফ্রান্সই প্রথম দল যারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে নকআউট পর্বে উঠল।

অন্যদিকে ডেনমার্কের জন্য এই ম্যাচটি বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াই। অনেকের মতেই এবারের বিশ্বকাপের ‘ডার্ক হর্স’রা তাঁদের প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছে। কেননা আগের ম্যাচে তারা গোলশূন্য ড্র করেছে তিউনিশিয়ার সাথে।

একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে দুই দলই। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। ম্যাচের ২২ মিনিটে সেট পিস থেকে প্রথম এগিয়ে যাবার বড় সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে রাবিও হেড করলে ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত সেভে এগিয়ে যাওয়া হয়নি ফ্রান্সের।

৩৫ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে ডেনমার্ক গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু ফ্রান্সের দুর্দান্ত রক্ষণের কাছে সেটি পরাস্ত হয়ে যায়। ৪১ মিনিটে আবারো গোলের অন্যতম সহজ সুযোগটি পায় ফ্রান্স ও ডেম্বেলে। চৌয়ামেনির বাড়ানো বলে ডেম্বেলে বল পেলে সেটি দেন এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এমবাপ্পের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর দুইদলের আরো কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে দুই দলই বেশ কয়েকবার কাঁপন ধরায় বিপক্ষ দলের রক্ষন। ডান প্রান্ত দিয়ে চৌয়ামিনি আর ডেম্বেলে ত্রাস ছড়ান ড্যানিশ রক্ষণে। ম্যাচের ৬০ তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলের সহজ সুযোগ মিস করেন আন্তোয়ান গ্রিজম্যান। কিন্তু পরের মিনিটেই দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

পিছিয়ে পড়ে যেন জেগে উঠে ড্যানিশরা। বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে ডেনমার্ক। তার ফল পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ৬৮ তম মিনিটে কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে ডেনমার্ককে সমতায় ফেরান আন্দ্রেস ক্রিশচেনসন। ৭৩ তম মিনিটে ডেনমার্কের আরো একটি গোছালো আক্রমণ দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন হুগো লরিস।

এরপর থেকে আবারো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮৫ মিনিটে গ্রিজম্যানের অসাধারণ এসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোলে ফ্রান্সকে আবারো লিড এনে দেন এম্বাপ্পে। এরপর ফ্রান্স আরো কয়েকটি আক্রমণ করলেও কোনোটিই গোলের মুখ দেখেনি। ডেনমার্কের বেশ কয়েকটি আক্রমণও প্রতিহত হয় ফ্রান্স রক্ষণ দুর্গে। তাই ২-১ ব্যাবধানে ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে ফ্রান্স।

ডেনমার্কে এই হারে তাদের নকআউট পর্বের আশা অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গেলো। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে অনেক সমীকরণ সামনে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ডেনমার্ক। অন্যদিকে ফ্রান্সের শেষ ম্যাচ তিউনিশিয়ার সাথে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...