তার কথা, তার খেলা, তার চলন; সবকিছুতেই বিনোদন।
এই বিনোদন থেকে বেশ কিছুদিন বঞ্চিত আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট। টেস্ট তো সেই ২০১৪ সালের পর আর খেলেনইনি। আর সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে দুই বছর পর ক্রি গেইলকে আবারও সম্ভবত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, টি-টোয়েন্টি আর্ন্তজাতিকে দেখা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি খেলবেন বস।
ক্রিস গেইল খেলছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগে। সেখানে কোয়েট্টা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে দুই ম্যাচে ৭ ছক্কা হাকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন বয়স ৪১ পার হয়ে গেলেও এখনও ব্যাটে তার আগের মতোই ধার। কিন্তু এই দুই ম্যাচ খেলেই হঠাৎ ফিরে গেছেন দেশে।
যাওয়ার আগে পিএসএল মিস করার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পিএসএল ছেড়ে যাওয়া দুঃখজনক, কারণ পুরো মৌসুম খেলতে চেয়েছিলাম। এখানে এসে টুর্নামেন্টে দাপট দেখাতে চেয়েছিলাম। সমর্থকদের উল্লাসের উপলক্ষ্য উপহার দিতে চেয়েছিলাম। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য লাহোরে ফিরতে মুখিয়ে আছি আমি।’
সে সময় গেইলের হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়ার কারণ বোঝা যায়নি। কিন্তু কিছু আগে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, তিনি সম্ভবত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছেন।
আগামী মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসছে শ্রীলঙ্কা। আর এখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ গেইল খেলবেন বলে শোনা যাচ্ছে। সেটা হলে প্রায় দুই বছর পর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে এই মারকুটে ওপেনারকে।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন গেইল। পোর্ট অব স্পেনের সেই ম্যাচই ছিলো তার সর্বশেষ আর্ন্তজাতিক ম্যাচ। তবে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আরও আগে। ২০১৯ সালেরই মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গেইল।
এ পর্যন্ত ৫৮টি আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ১৬২৭ রান করেছেন গেইল। স্ট্রাইক রেট ১৪২.৮৪। এর মধ্যে ২টি সেঞ্চুরি ও ১৩টি ফিফটি আছে তার। আছে ১০৫টি ছক্কা। আর সব ধরণের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তো তিনি এক ও অদ্বিতীয়।
৪১৩টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩ হাজার ৬৯১ রান করেছেন। ১৪৬.৮৬ গেইলের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট। ২২টি সেঞ্চুরি ও ৮৬টি ফিফটি আছে তার। রেকর্ড অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংসও খেলেছেন এই ফরম্যাটে।
টি-টোয়েন্টির বাইরে গেইল ১০৩ টেস্টে ৪২.১৮ গড়ে ৭২১৪ রান করেছেন; আছে একাধিক ট্রিপল সেঞ্চুরি। এ ছাড়া ৩০১ ওয়ানডেতে ৩৭.৮৩ গড়ে ১০ হাজার ৪৮০ রান আছে তার। আছে ডাবল সেঞ্চুরি।