ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মত ক্লাবের কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের সাথে বিচ্ছেদের রেশ কাটতে না কাটতেই ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মাঠ এবং মাঠের বাইরে ক্লাবকে এগিয়ে নিতে তারা বড় ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।যার মধ্যে ক্লাবকে সম্পূর্ণরূপে ব্রিক্রি করার সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
গ্লেজার পরিবার ২০০৫ সালে ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার টেকওভার বিডের মাধ্যমে ক্লাবের মালিকানা নেয়। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্লাবে নতুন বিনিয়োগ, বিক্রয় বা কোম্পানির সাথে জড়িত অন্যান্য লেনদেন সহ সমস্ত কৌশলগত বিকল্প বিবেচনা করবে।
ট্রান্সফারমার্কেট অনুসারে, ইউনাইটেড গ্লাজারের অধীনে ১.৩৬ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে ২.৫ বিলিয়নের বেশি মূল্যে বিক্রি হতে পারে ক্লাবটি। যদিও এখন পর্যন্ত সবকিছুই আলোচনার টেবিলে তবুও ইউনাইটেড পরিবার যে সুখে নেই তা যেন বারবার প্রমাণিত হচ্ছে।
পর্তুগাল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্লাব ছাড়ার ঘোষণার পর পরই ক্লাব বিক্রির খবর সামনে এল। গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাৎকারে রোনালদো ক্লাবের মালিকানা নিয়ে সমালোচনা করেন।
গ্লেজারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয় ক্লাবকে শক্তিশালী করার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে যেমন, স্টেডিয়াম এবং অবকাঠামো পুন:উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী ক্লাবের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ। যাতে করে মাঠ এবং মাঠের বাইরে আরও সফল হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ক্লাবের উন্নতির জন্য সব রকমের বিকল্প নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ক্লাবের ভক্ত,শেয়ারহোল্ডার এবং ক্লাবের সাথে জড়িত সকলের কথা মাথায় রেখে ক্লাবের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ উন্নতি নিশ্চিতে কাজ করা হবে।
সম্প্রতি গ্লেজার পরিবারের মালিকানার বিরুদ্ধে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে লিভারেজড বাই-আউট প্রয়োগের ফলে প্রচুর পরিমাণ ঋণে জর্জরিত হওয়ায় এই সমালোচনার পালে হাওয়া লাগে। ২০২১ সালের মে মাসে প্রতিবাদের কারণে লিভারপুল- ইউনাইটেডের লিগের ম্যাচ স্থগিত করা হয়। চলতি মৌসুমে আগস্টে ম্যাচের আগে হাজার হাজার ‘রেড ডেভিল’ সমর্থক ক্লাবের মালিকানার প্রতিবাদে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মিছিল করে।