কলকাতাকে উড়িয়ে চূড়ায় উঠলো গুজরাট

একাদশে প্রত্যাবর্তনে গুরবাজের ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস বৃথা গেছে বিজয় শংকর, ডেভিড মিলারদের তোপে। কলকাতাকে সাত উইকেটে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে এখন গুজরাট।

চ্যাম্পিয়নদের মতই টুর্নামেন্টটা শুরু হয়েছে গুজরাট টাইটান্সের। কলকাতার বিপক্ষেও বজায় থাকলো প্রতাপ। প্রথমে মোহাম্মদ শামি নুর আহমেদদের বোলিং ও এরপর শুবমান গিল, বিজয় শংকরদের ব্যাটে চড়ে কলকাতাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

একাদশে প্রত্যাবর্তনে গুরবাজের ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস বৃথা গেছে বিজয় শংকর, ডেভিড মিলারদের তোপে। কলকাতাকে সাত উইকেটে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে এখন গুজরাট।

ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন কলকাতার দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও নারায়ন জগদীশান। জেসন রয়ের ইনজুরিতে কলকাতা একাদশে ফেরা গুরবাজ ছিলেন বেশি মারমুখী।

তৃতীয় ওভারে ১৯ রান করা জগদীশানকে ফিরিয়ে গুজরাটকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ শামি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া শার্দুল ঠাকুরও শূন্য রানে ফিরে যান শামির বলে।

ভেন্কাটেশ আইয়ার, নিতীশ রানাও অন্যপ্রান্তে অবিচল থাকা গুরবাজকে খুব বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি। অপর প্রান্তে ব্যাটাররা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলে রহমানুল্লাহ গুরবাজ তুলে নেন নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৩৯ বলে সাত ছক্কা ও পাঁচ চারে ৮১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে স্বদেশী নুর আহমেদের শিকার হন গুরবাজ। শেষ দিকে ঝড় তোলেন ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেলও।

টুর্নামেন্টে রাসেলের অফ ফর্ম নিয়ে সমালোচা হওয়া শুরু হয়েছিলো। এবারের আসরে প্রথমবারের মত নিজের স্বভাব সুলভ ইনিংস খেলেন রাসেল। ১৯ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার। কলকাতা পায় সাত উইকেটে ১৭৯ রানের পুঁজি। গুজরাটের হয়ে মোহাম্মদ শামি তিনটি ও নুর আহমেদ ও জশ লিটল দুটি করে উইকেট নেন।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ভালো সূচনা এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। দলীয় ৪১ রানে সাহাকে ফিরিয়ে কলকাতাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রাসেল। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে সাথে নিয়ে গুজরাটকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন গিল।

দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ব্যক্তিগত ২৬ রানে পান্ডিয়া আউট হলে। জুটি ভাঙার পর দ্রুতই ফিরে যান দারুণ খেলতে থাকা গিল। ৩৫ বলে আট চারে ৪৯ রান করে সুনীল নারিনের শিকার হন গিল।

এরপরই শুরু হয় ডেভিড মিলার আর বিজয় শংকরের তান্ডব। দুই প্রান্তে কলকাতা বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন বিজয় আর মিলার।

এবারের টুর্নামেন্টে নিজের নতুন করে চেনানো বিজয় শংকর মাত্র ২৪ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে করেন ৫১ রান। অন্যদিকে ডেভিড মিলার ১৮ বলে ৩২ রান করলে ১৩ বল আগেই সাত উইকেটের জয় পায় গুজরাট।

নিজেদের অষ্টম ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এখন গুজরাট। অন্যদিকে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে অবস্থান কলকাতার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...