উলভসের বিপক্ষে গোল পাননি, এর আগে অস্ট্রিয়াও তাঁকে গোল করতে দেয়নি – নিয়মিত গোল করা আর্লিং হল্যান্ড তাতেই বোধহয় ক্ষেপে গিয়েছিলেন। আর সেই ক্ষোভের ঝাঁঝ টের পেয়েছে স্পার্টা প্রাগ। দুইটা গোল করেছেন সেটা তো জানাই আছে সবার। এছাড়া তিনি একাই গোলমুখে নিয়েছেন নয় নয়টা শট, চারবার চেষ্টা করে প্রতিবারই এরিয়াল ডুয়েলে জিতেছেন।
প্রথমার্ধে অবশ্য নির্বিষ ছিলেন এই স্ট্রাইকার, সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন দলকে এগিয়ে দিতে। তবে এক ঘন্টা পূর্ণ হওয়ার একটু আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই নিজের চেনা ছন্দে ফিরে যান তিনি। স্যাভিনহোর ক্রস থেকে যেভাবে অ্যাক্রোবেটিক ব্যাকহিলে গোল দিয়েছেন তাতে আবারো প্রশ্ন ওঠে তিনি কি আসলেই মানুষ নাকি নরওয়ের কোন কারখানার রোবট।
সেই গোলের মিনিট দশেক আবারো স্কোরবোর্ডে নাম উঠিয়েছিলেন এই তরুণ; যদিও ভাগ্য সহায় হলে জোড়া গোল নয় বরং হ্যাটট্রিক নিয়েই ফিরতে পারতেন তিনি। তাঁর শট গোলবারে বাঁধা পেয়ে বল জালে জড়ায়নি, আবার আগে আগে মাঠ থেকে তুলে ফেলায় পরে আট তৃতীয় গোল করার সুযোগ ছিল।
যদিও হল্যান্ড যা করেছেন তাতেই ম্যাচের আরেক নায়ক আড়ালে জলে গিয়েছেম ম্যাথিউজ নুনেজ। মূলত রদ্রি না থাকায় তাঁর উপর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের দায়িত্ব দেন পেপ গার্দিওলা। সেই দায়িত্ব একেবারে সর্বোচ্চ সেরা উপায়ে পালন করেছেন তিনি, চার মিনিটের ব্যবধানে করেছেন দুই অ্যাসিস্ট এরপর আবার ম্যাচের শেষদিকে স্পট কিক থেকে ব্যবধান বাড়িয়েছেন।
গোল বা অ্যাসিস্টের হিসেব থাকুক, নুনেজের পারফরম্যান্স বুঝতে তাঁর হিটম্যাপটা দেখাটাই যথেষ্ট। এদিন মাঠের সবখানে ছিলেন তিনি, ম্যাচে সর্বোচ্চ ট্যাকেল করেছেন, সর্বোচ্চ ডুয়েলও জিতেছেন। শুধু ডিফেন্সিভ ওয়ার্ক নয়, তিন তিনটা চান্স তৈরি করেছেন তিনি; তিনবার সফল ড্রিবলিং-ও করেছেন।
অবশ্য ম্যানসিটি দাপট দেখাবে সেটা জানা কথাই ছিল, তবু শঙ্কার কোন ছায়া কারো মনে থাকলে সেটা দূর করেছেন ফিল ফোডেন। সেজন্য তাঁর সময় লেগেছে স্রেফ ১৫০ সেকেন্ড। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ২৬ ম্যাচ অপরাজিত রইলো দলটি, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড।