বাংলাদেশি একজন ফুটবলার খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল); এমনটা কল্পনা করেই নিশ্চয়ই অদ্ভুত লাগছে, সেই সাথে খানিকটা আক্ষেপও হতে পারে। তবে অদ্ভুত এই স্বপ্ন এবার বোধহয় পূরণ হতে যাচ্ছে, অতৃপ্তির আক্ষেপের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। কেননা, সবকিছু ঠিক থাকলে শীঘ্রই লেস্টার সিটির হামজা দেওয়ান চৌধুরী খেলবেন লাল-সবুজের জার্সিতে।
বিস্ময়কর হলেও ব্যাপারটি সত্যি, ইতোমধ্যে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনে পাসপোর্টের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-ও তাঁকে নিয়ে বেশ আগ্রহী, তাই তো তাঁর পাসপোর্টের বিষয় গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য হাই কমিশনকে অনুরোধ করেছে তাঁরা। আশা করাই যায়, দ্রুততম সময়ে তাঁকে সাহায্য করবে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করা এই ফুটবলারের রক্তে মিশে আছে বাংলাদেশ ও গ্রেনাডা। তাঁর মায়ের জন্ম বাংলাদেশের সিলেট, এখনও মাঝে মাঝে সিলেটে নানার বাড়িতে আসা হয় তাঁদের। তাই তো লাল-সবুজের দেশটার প্রতি ভালবাসা আছে তাঁর হৃদয়ে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাই এ দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কয়েক মাস আগে দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় এই মিডফিল্ডার বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলব। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে ইতিবাচক খবর দিতে পারব আশা করি।’
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর পাসপোর্ট হাতে আসলেই বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে শুরু করবে বাফুফে। চলতি বছরেই তাঁকে রাকিব, মোরসালিনদের সঙ্গে খেলানোর লক্ষ্য রয়েছে সংস্থাটির; এখন দেখার বিষয় সেই লক্ষ্য পূরণ হয় কি না।
২০১৮ বিশ্বকাপে যখন ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন তাঁদের স্কোয়াডে ফরাসি ফুটবলারের চেয়ে সংখ্যায় বেশি ছিল আফ্রিকান ফুটবলাররা। অর্থাৎ প্রবাসী আর বংশোদ্ভূত ফুটবলারকে খেলার সুযোগ দেয় বিশ্ব মানের দলগুলোও। জামাল ভুঁইয়ার হাত ধরে সেই পথে যাত্রা শুরু করেছিল; এরপর এসেছেন তারিক কাজী। এবার কি তবে হামজা চৌধুরীর পালা?