রুবেল-বিজয়ে পরাজয়ের হ্যাটট্রিক খুলনা টাইগার্সের

পরাজয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলো খুলনা টাইগার্স, বরিশালের বিপক্ষে হারার পর থেকে সব যেন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে তাঁদের। সবশেষ সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে রায়ান বার্লের ক্যামিওতে পাঁচ উইকেটের হেরেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। এক ওভারে ২৪ রান খরচ করার পাশাপাশি শূন্য রানে হ্যারি টেক্টরের ক্যাচ মিস ভিলেন বনে গেছেন রুবেল হোসেন।

পরাজয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলো খুলনা টাইগার্স, বরিশালের বিপক্ষে হারার পর থেকে সব যেন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে তাঁদের। সবশেষ সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে রায়ান বার্লের ক্যামিওতে পাঁচ উইকেটের হেরেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। এক ওভারে ২৪ রান খরচ করার পাশাপাশি শূন্য রানে হ্যারি টেক্টরের ক্যাচ মিস ভিলেন বনে গেছেন রুবেল হোসেন।

আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনা শুরুতেই হারায় এভিন লুইসের উইকেট, মাত্র ১২ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। আফিফ হোসেন অবশ্য চাপে পড়তে দেননি, তিন নম্বরে ব্যাট করে খেলেছেন ১৬ বলে ২৪ রানের সময়োপযোগী ইনিংস। বড় রান করতে না পারলেও দলকে মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আফিফ আউট হওয়ার খানিক পরে মাহমুদুল জয়ের উইকেট তুলে নিয়ে আবারো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সিলেট।

এরফলেই স্কোরবোর্ডের গতি কমে যায় আশঙ্কাজনকভাবে, উইকেট আর না হারানো সত্ত্বেও দলীয় শতক পূর্ণ করতে তাঁদের লেগে যায় ১৭ ওভার। একপ্রান্তে এনামুল তখন ৫১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেছিলেন, আর হাবিবুর রহমান সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ১২ রানে। তবে শেষ তিন ওভারে খোলস বদলে ফেলেন দুজনেই; রীতিমতো টর্নেডো সৃষ্টি করেন বাইশ গজে।

শেষপর্যন্ত বিজয়ের ৫৮ বলে ৬৭ এবং সোহানের ৩০ বলে ৪৩ রানে ভর করে ১৫৩ রানের পুঁজি পায় টিম টাইগার্স। অর্থাৎ শেষ তিন ওভারে ৫১ রান সংগ্রহ করেন এই জুটি।

মাঝারি মানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সিলেটও শুরুর দিকে হারায় ওপেনার সামিত প্যাটেলের উইকেট। যদিও আরেক ওপেনার হ্যারি টেক্টর হাল ধরেন, নাজমুল শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ডে ৫২ রান যোগ করেন তিনি। কিন্তু নবম ওভারে মার্ক দেয়াল প্রথমে শান্ত ও দুই বল পরে জাকিররে শিকার করলে পিছিয়ে পড়ে স্ট্রাইকার্স বাহিনী।

যদিও টেক্টরের কল্যাণে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েনি তাঁরা, এই তারকার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় দলটি। মাঝে অধিনায়ক মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৪ রান।

কিন্তু ৬১ রান করে আইরিশ অলরাউন্ডারকে থামতে হয়, জয়ের জন্য তখনো ১২ বলে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল শান্ত, মিথুনদের। রায়ান বার্লের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেই সমীকরণ মেলাতে সমস্যা হয়নি অবশ্য, তাঁর ৩২ রানের ক্যামিওতে এক ওভার হাত রেখেই শেষ হাসি হাসতে সক্ষম হয় সিলেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...