অজিদের সাথে টেস্ট সিরিজ জিতলেও ওয়ানডে সিরিজে আর পেরে ওঠেনি ভারত। প্রথম ম্যাচ জিতেও টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে রোহিত-কোহলিরা।
অথচ সিরিজ জেতার পথেই ছিল ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৭০ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই টপকাতে পারতো ভারত।
সমীকরণটাও ছিল তাদের অনুকূলেই। কিন্তু অ্যাস্টন আগারের এক ওভারেই যেন সব শেষ হয়ে যায়। উইকেটে থিতু হয়ে ফিফটি তুলে নেওয়া বিরাট কোহলি ফিরে যান। আর এর পরেই ম্যাচ ঝুঁকে যায় অজিদের দিকে। শেষ পর্যন্ত, ২১ রানে হেরে যায় ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার এমন সিরিজ জয়ের কৃতিত্বটা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকেই দিচ্ছেন ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। তাঁর মতে, এক স্মিথের বুদ্ধিমত্তাতেই হেরেছে ভারত।
২৭০ রানের লক্ষ্যে তখন বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত। বিরাট কোহলিও ছিলেন উইকেটে। তাঁর সাথে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়াও। এ দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে একটা সময় পর ভারত লক্ষ্যের আরো কাছে চলে আছে। ১২৭ বলে প্রয়োজন হয় মাত্র ১১৯ রান। অর্থাৎ আস্কিং রেটেরও তখন তেমন কোনো চাপ ছিল না।
এমন সময়ে ইনিংসের ৩৬ তম ওভারে অজি অধিনায়ক স্মিথ বোলিং প্রান্তে আনেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাস্টন আগারকে। মূলত উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া কোহলিকে থামাতেই বাঁহাতি স্পিনারকে বোলিং প্রান্তে এনেছিলেন স্মিথ। স্মিথের সেই রণকৌশল কাজেও লেগে যায়। সে ওভারের প্রথম বলেই লং অফে ক্যাচ তুলে দেন কোহলি। লং অফে থাকা ওয়ার্নার সেই ক্যাচটা লুফে নিতে ভুল করেননি।
মূলত এখানেই ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব নজর কেড়েছে আশ্বিনের। তাঁর মতে, ঐ সময় আগারকে বারবার অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল ফেলতে বলেছিলেন অধিনায়ক স্মিথ। আশ্বিনের ভাষ্যমতে তিনি এটাও লক্ষ্য করেছিলেন যে, ঐ ওভারের আগেই ওয়ার্নারকে লং অফে তুলে সরিয়ে এনেছিলেন স্মিথ। আর স্মিথের সে পাতা ফাঁদেই ধরা দেন কোহলি।
কোহলি আউট হওয়ার পরের বলেই বোল্ড হন সুরিয়ারকুমার যাদব। ব্যাস এরপরেই হারানো মোমেন্টাম খুঁজে পেতে শুরু করে অজিরা। হার্দিক পান্ডিয়া যদিও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও কোহলির মতোই লং অফে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। আর এরপরেই ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের এমন সিরিজ হারের পরও অবশ্য নিরাশ হতে নারাজ রবিচন্দ্রন আশ্বিন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত, কোহলি ফিফটি করলেই একটা সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জেগে ওঠে। সে বারবার প্রমাণ করেছে। আর সে উইকেটে থাকলে ভারত জয়ের পথেই থাকে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এবার সেটি হয়নি। সে ভাল শুরু করেছিল। কিন্তু শেষটা আর ভাল হয়নি। তবে কোহলি এখন চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সে দারুণ কিছু করে দেখাবে।’