ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি দলের সংখ্যা কমিয়ে ১০ টায় নামিয়ে এনেছিল। ফলে সহযোগী দেশগুলো তো বটেই, অনেক টেস্ট খেলুড়ে দেশও বিশ্বকাপ খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপই যেমন আয়োজিত হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডকে ছাড়া।
তবে, আইসিসি একটু দেরিতে হলেও নিজেদের সেই অবস্থান থেকে সরে আসলো। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল বাড়ানোর ঘোষণা দিল তাঁরা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ২০২৭ ও ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে ১৪ টি দল।
এখানেই শেষ নয়। বাড়ানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল সংখ্যাও। ২০২৪ থেকে ২০৩০ – এই সময়ে দুই বছর বাদে বাদে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আইসিসি ইভেন্ট। আর সেখানে খেলবে ২০ টি করে দল। এর ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সহযোগী দেশগুলো তো বটেই, নতুন শক্তিগুলোরও উত্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানিয়েছে ১৪ দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হবে ৫৪ টি ম্যাচ। আর ২০ দলের অংশগ্রহনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হবে ৫৫ টি ম্যাচ। এটাকে ক্রিকেটের বিশ্বায়নের পথে এযাবৎকালে আইসিসির সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ বলা যায়।
আইসিসি আরো কিছু ঘোষণা দিয়েছে তাঁদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। ২০২৫ ও ২০২৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে দু’টি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে খেলবে আটটি করে দল। বোঝাই যাচ্ছে ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আইসিসি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল।
এছাড়া আরো চারটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। চারটি আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২০২৫, ২০২৭, ২০২৯ ও ২০৩১ সালে।
আইসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আইসিসি ২০৩১ অবধি তাঁদের সূচি চূড়ান্ত করেছে, যাকে আমরা আগামী দশকের ক্রিকেটের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় একটা পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করছি।’
আইসিসির এই সিদ্ধান্ত এখন বোর্ড মিটিংয়ে উঠবে। সেখানে সবগুলো সদস্য দেশের ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে সর্বসম্মতি পাওয়া গেলে তবেই এই সিদ্ধান্ত কার্য্যকর হবে। যতদূর বোঝা যাচ্ছে তিন শীর্ষ বোর্ড ভারতের বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই), ইংল্যান্ডে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) – এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যেতে পারে। ফলে, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।