ফ্রন্টম্যান ইমরুল কায়েস

ফাফ ডু প্লেসিস, মঈন আলী, মাহমুদুল হাসান জয়দের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইন আপ। এছাড়া এত তারকার ভীড়ে একাদশে সুযোগই হচ্ছেনা আরেক সম্ভাবনাময়ী ওপেনার পারভেজ ইমনের। তবে চট্টগ্রামের বিপক্ষে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসই যথেষ্ট ছিলেন। ডাগআউট থেকে ফাফ, মঈনরা দেখলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারের ব্যাটিং ডিসপ্লে।

ফাফ ডু প্লেসিস, মঈন আলী, মাহমুদুল হাসান জয়দের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইন আপ। পিঞ্চ হিটার ধরলে সুনীল নারাইনও থাকবেন। এছাড়া এত তারকার ভিড়ে একাদশে সুযোগই হচ্ছেনা আরেক সম্ভাবনাময়ী ওপেনার পারভেজ ইমনের। তবে চট্টগ্রামের বিপক্ষে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসই যথেষ্ট ছিলেন। ডাগআউট থেকে ফাফ, মঈনরা দেখলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারের ব্যাটিং ডিসপ্লে।

ওপেনিং পজিশনে কে খেলবে তা নিয়ে মধুর সমস্যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রাম পর্বে লিটন যোগ দেবার পর সেই সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। ফিরেই দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ওদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এই আসরে ব্যাটিং করছিলেন মিডল অর্ডারে। দলে এত নামী দামী ওপেনার থাকার পরেও দায়িত্বটা আজ নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ইমরুল কায়েস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন আর রঙিন পোশাকে নেই ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলের পরিকল্পনাতেও এখন আর তাঁর নাম আসেনা। বাংলাদেশের হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন প্রায় তিন বছর আগে। আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন আরো পাঁচ বছর আগে। তবে বিপিএলে বরাবরই সফল এই ওপেনার। কুমিল্লার অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলের ট্রফিও জিতেছেন।

তবে এবারের বিপিএলে একেবারেই পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাঁর দলে এত এত পারফর্মারের ভীরে নিজেকে যেন হারিয়েই ফেলেছিলেন। রান তো পাচ্ছিলেনই না বরং তাঁর ইনিংস গুলোও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না একেবারেই। ফলে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ইমরুল কায়েসের শেষ দেখে ফেলছিলেন অনেকেই।

এমন অবস্থায় আজ হঠাত সবকিছু বদলে দিলেন ইমরুল। ১৮ ওভারে ১৩৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেই টার্গেটে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার হয়ে ওপেন করতে নেমে গেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। সাথে আরেক ইনফর্ম ওপেনার লিটন দাস। অবাক করার মতই ব্যাপার। নিজেকে প্রমাণের তাগিদেই যেন ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে টেনে তুললেন।

৬২ বলে ৮১ রানের অপরাজিত ও ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন। দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। লিটন দাসকে সাথে নিয়ে ১৩৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন। ব্যাটিং করেছেন ১৩০.৬৪ স্ট্রাইকরেটে। ৬ চার ও ৬ ছয়ে সাজানো এক ইনিংস। তবে ইনিংসের শুরুর চিত্রটা এমন ছিল না। শুরুর দিকে ভীষণ সেকি ছিলেন। বেশকিছু সুযোগও পেয়েছেন। এছাড়া প্রথমে স্ট্রাইকরেটও বেশ কম ছিল। অবশ্য অন্য প্রান্তে লিটন সাবলীল ব্যাটিং করার স্কোরবোর্ডে খুব বেশি চাপ পড়েনি।

অপরপ্রান্তে লিটন দাস ছিলেন তাঁর চেনা রূপেই। যেকোন ফরম্যাটেই তাঁর ব্যাটে যেন রানের ফোয়ারা। রানের পর রান করে যাচ্ছেন। টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটিয়ে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে এসেছেন। এরপর আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফেরেও দারুণ ব্যাটিং।

আজও ৩৭ বলে খেলেছেন ৫৩ রানের সুন্দর এক ইনিংস। ৪ চার ও ৩ ছয়ে সাজিয়েছেন আজকের এই ইনিংস। ব্যাটিং করেছেন ১৪৩.২৪ ব্যাটিং গড়ে। ম্যাচের প্রায় শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েসের সাথে ব্যাটিং করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ দলও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লিটনকে দলের বাইরে রেখেছে। খুব একটা ফর্মেও ছিলেন না অবশ্য। তবে বিপিএলে টেস্টের ফর্ম যেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও ফিরিয়ে এনেছেন এই পেসার। লিটনের এই ইনিংসগুলো হয়তো নির্বাচকদের আরেকবার ভাবতে বাধ্য করবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও লিটনের এই ব্যাটিং সার্ভিস বাংলাদেশ চাইবে নিশ্চয়ই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...