চির উন্নত মম শির

পাঁচ দিনের ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যানকে অপ্রস্তুত করে দেওয়ার সবচেয়ে আদর্শ অস্ত্র মনে করা হয় পেসারদের শর্ট বলকে। কিছু কিছু শর্ট বলের ধরণ এমন হয় – যেটা আঘাত হানে মাথায়। হেলমেট না থাকলে কখনো কখনো সেটা বিপদও ডেকে আনতে পারে। ফিলিপ হিউজের ঘটনার পর শর্ট বলের মাত্রা কমেনি, বরং ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন।

ফরম্যাট হিসেবে টেস্টই যে সবচেয়ে কঠিন – সে নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এখানে একজন ক্রিকেটারের দক্ষতা, চরিত্র, সামর্থ্য কিংবা মানসিকতার চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়। তাই, সীমিত ওভারের চেয়ে টেস্টে মানিয়ে নেওয়া একট বেশিই কঠিন।

পাঁচ দিনের ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যানকে অপ্রস্তুত করে দেওয়ার সবচেয়ে আদর্শ অস্ত্র মনে করা হয় পেসারদের শর্ট বলকে। কিছু কিছু শর্ট বলের ধরণ এমন হয় – যেটা আঘাত হানে মাথায়। হেলমেট না থাকলে কখনো কখনো সেটা বিপদও ডেকে আনতে পারে। ফিলিপ হিউজের ঘটনার পর শর্ট বলের মাত্রা কমেনি, বরং ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন।

তবুও, হেলমেটে বলের আঘাত হানা থামেনি। মাথায় ইনজুরি হওয়া এখন খুবই বিরল ক্রিকেটে, তবে আইসিসি সতর্কতার জন্য কনকাশন সাব রাখার বিধান করেছে। সেই বিধান সব ফরম্যাটেই দলগুলো প্রয়োজন মনে করে কাজেও লাগাচ্ছে।

তবে, যাই হোক না কেন, মাথায় বল লাগাটা এখন পার্ট অব গেম। আর সেই খেলার অংশ হিসেবেই অনেক ব্যাটসম্যানের হেলমেটে নিয়মিত বলের ছোয়া লাগে, কেউ বেসামাল হয়ে নিজেকে সামলে নেন।

আচ্ছা, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার কোন ব্যাটসম্যানের মাথায় বল লেগেছে? সেই সংখ্যাটাই বা কত? এই ভুতুড়ে পরিসংখ্যানও কি বের করা সম্ভব? সম্ভব। তালিকায় তিন ব্যাটসম্যানের নামও পাওয়া গেল।

  • মার্নাস লাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া)

তিনি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান। আর তাঁর এই সেরা হয়ে ওঠার সূচনা হয়েছে অনেকটাই অ্যাশেজে স্টিভেন স্মিথের কনকাশন সাব হয়ে মাঠে নামার পর। হ্যাঁ, বলছি মার্নাস লাবুশেনের কথা।

টেস্টের ইতিহাসে পাঁচবার কোনো বোলারের ছোড়া বল তাঁর হেলমেট পরিহিত মাথায় আঘাত হেনেছে। অ্যাশেজের মঞ্চে বাউন্সার অস্ত্র ব্যবহার করে বছর দুয়েক আগে সেটা করেছেন জোফরা আর্চার। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমের বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সিরাজও তাঁকে একই বিপদে ফেলেন।

  • আজিঙ্কা রাহানে (ভারত)

এর পরেই আসবে আজিঙ্কা রাহানের নাম। টেস্টে ভারতের সহ-অধিনায়ক, যিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছেন অধিনায়ক হিসেবে। ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান হলেন টেস্টে মিডল অর্ডারে ভারতের ভরসার প্রতীক। তাঁর হেলমেটেও পাঁচবার বল আঘাত হেনেছে।

এর মধ্যে প্রথমটি ঘটে ২০১৩-১৪ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বোলারটি ছিলেন ডেল স্টেইন। তাঁর একটা বাউন্সারে বেসামাল হন রাহানে। পরে এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান সাক্ষাৎকারে বলেন, সেই বাউন্সার তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরণ অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে।

  • ররি বার্নস (ইংল্যান্ড)

বাকি দু’জনের মত এখনও ররি বার্নস খুব পরিচিত নন। ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার এখন অবধি খেলেছেন মাত্র ২৪ টেস্ট। সেখানেই পাঁচবার বল তাঁর মাথায় আঘাত হেনেছে।

এর মধ্যে সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসনের একটা ডেলিভারি তাঁর হেলমেটে লাগে। বলাই বাহুল্য, ১৩২ রানের ইনিংস খেলার পথে একবার নয় – দু’বার তাঁর হেলমেটে বল লাগে। এর মধ্য দিয়েই তিনি রাহানে ও লাবুশেনের পাশে নাম লেখান।

ক্যারিয়ারে ভুতুড়ে এক ইনজুরির শিকারও হয়েছেন ররি। ২০১৫ সালের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলছিলেন সারের হয়ে। ক্যাচ ধরতে গিয়ে তাঁর সাথে অস্ট্রেলিয়ার মোজেস হেনরিকসের সংঘর্ষ হয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...