নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস!

একেবারে আলোচনার কোনো স্তরেই ছিলেন না তিনি। জাতীয় দলের আশেপাশেও নেই অনেকদিন ধরে। কিন্তু ওপেনার সংকটে এবার নির্বাচকদের সেই পুরোনো ইমরুল কায়েসের দিকেই হাত বাড়াতে হচ্ছে। জাতীয় দলের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানালো, নিউজিল্যান্ড সফরের দলের জন্য খুবই বিবেচনায় আছেন এই ওপেনার।

সংকট তৈরী হয়েছে সাইফ হাসানের টাইফয়েড হওয়ায়। তিনি বেশ কিছুদিনের জন্য খেলা থেকে ছিটকে গেছেন। এখন দলে ‘জেনুইন’ ওপেনার আছেন মাত্র দু জন-সাদমান ইসলাম এবং নাঈম শেখ। সাদমানকে নিয়ে ম্যানেজমেন্টের মাথায় খুব একটা প্রশ্ন নেই। তামিমের অনুপস্থিতিতে এক প্রান্তে তিনি নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের মত কঠিন কন্ডিশনে লম্বা সফরে এক নাঈম শেখে ভরসা রাখা যাবে কি না।

এ ক্ষেত্রে নির্বাচকরা নাঈমকে নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ারই খুব একটা পক্ষে নন। সেখানে বরং মেকশিফট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে ভাবতে চান তারা। আরেকটা অপশন থাকে নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু জয় বা শান্ত কেউই জেনুইন ওপেনার নন। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে একজন খাটি ওপেনারকেই চাচ্ছে ম্যানেজমেন্ট। আর এ ক্ষেত্রেই চলে আসছে ইমরুলের নাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জাতীয় দল ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘আমাদের হাতে তো খুব একটা অপশন নেই। নাঈমকে নিউজিল্যান্ড নেওয়া হবে কি না, সেটাই আমরা নিশ্চিত নই। সে ক্ষেত্রে সাদমান ছাড়া দলে জেনুইন ওপেনার থাকছে না কেউ। ব্যাকআপ হলেও তো আরেকজন ওপেনার লাগবে। আর তেমন ক্ষেত্রে ইমরুল ছাড়া আর কারো নাম তো বিবেচনা করার সুযোগই হচ্ছে না। বাকী ওপেনাররা তো অনেক তরুন। এদের সেরকম অভিজ্ঞতাই নেই। নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে এদের ওপর চাপ দেওয়া ঠিক হবে না।’

কিন্তু সহজে ইমরুলের সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলতে পারছে না ম্যানেজমেন্ট। কারণ, ইমরুলের ব্যাটে খুব একটা রান নেই। ওই কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘ও একটু রানে থাকলে তো এতো ভাবা লাগতো না। ওর নিউজিল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ওখানে রানও করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো ইদানিং তার ব্যাটে একেবারেই রান নেই। জাতীয় লিগে তো রানই পায়নি। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হচ্ছে।’

কঠিন হলেও বলটা আসলে ইমরুল ছাড়া কারো দিকে ছুড়তে পারছে না ম্যানেজমেন্ট। তারা আরও কিছু নাম বিবেচনা করছেন। এমনকি তরুন পারভেজ হোসেন ইমন বা অভিজ্ঞ সৌম্য সরকারের কথাও ভাবা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত পেস বোলিং বিবেচনায় সিদ্ধান্তটা সৌম্যর দিকে হেলে পড়ার সম্ভাবনা যে নেই, তা নয়। তবে আপাতত আলোচনাটা ইমরুলকে ঘিরেই।

ডাক পেলে সেটা ইমরুলের জন্য বেশ বড় একটা প্রত্যাবর্তন হবে। সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন সেই ২০১৯ সালে। সে বছর কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে পিংক টেস্টে খেলেছিলেন। এরপর থেকে আর ছিলেন না বিবেচনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link