বর্তমান যুগটা প্রযুক্তির। গত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট খেলাতেও হয়ে আসছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। পারফরম্যান্সে উন্নতি হলেও এ দিকে খানিকটা পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। এপ্রিল থেকে এ নিয়ে কাজ করছে বিসিবি। আসন্ন টেস্ট সিরিজে জিপিএস চিপ নিয়ে মাঠে নামবে লিটনরা।
জিপিএস চিপ কি? খেলোয়াড়দের ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রযুক্তি হচ্ছে ‘জিপিএস টেকনোলজি’। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে জানা যাবে খেলোয়াড়দের ইনজুরি প্রবণতা। অনুশীলনে অতিরিক্ত প্রভাব পড়লে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে ম্যানেজমেন্ট। এছাড়াও এই প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিশ্রমে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগও পাবেনা কেউ। যার ফলে ফিটনেস সমস্যা কেটে যাবে অনেকটা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ইংল্যান্ড দল। মিরপুরে বাটলাররা যখন অনুশীলন করেছিল তখন শরীরে ছিল এই প্রযুক্তির ব্যবহার। এ দেখে অনেকে আপসোস করেছিল, কেননা তাসকিনরা অতিরিক্ত পরিশ্রমে বারবার পড়েন ইনজুরিতে।
বিসিবি’র হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুর দায়িত্ব গ্রহণের পর কাজ শুরু করেন এ নিয়ে। এপ্রিলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশেও ব্যবহার হবে এ প্রযুক্তি। তারই ধারাবাহিকতা চলেছে মাঝের সময়ে।
বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম জানিয়েছেন, টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি ক্যাটাপুল্টের জিপিএস প্রযুক্তি ঢাকায় আসতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জিপিএস নিয়ে মাঠে নামবে লিটনরা।
বিশ্বকাপের বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট চলছে পরিকল্পনা মাফিক। প্রধান কোচ কাজ করছেন ক্রিকেটারদের মানসিক দিক নিয়েও। সেখানে কাঙ্খিত ফলাফল আসলে ক্রিকেটাররা থাকবে স্বস্তিতে।
জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের পর খেলোয়াড়রা সঠিকভাবে জানতে পারবে ফিটনেসের অবস্থা। প্রতিযোগীতায় টিকতে হলে নিজের উন্নতি তখন করবে নিজেরাই।
নিজেকে ধরে রাখতে ফিটনেসে গুরুত্ব দিতেই হবে। ফিটনেস ইস্যুর কারণেই অনেকটা ঝুলে আছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপ ভাগ্য। বিশ্বকাপে রিয়াদের অভিজ্ঞতা নিতে চাইবে বাংলাদেশ। তবে ফিটনেস ঠিক না থাকলে দলের বিপর্যয়ের কারনও হবেন রিয়াদ। এসব নিশ্চয়ই ভাবাচ্ছে কর্তাদের।
ফিটনেস জটিলতায় অনেকেই জায়গা হারিয়েছেন দলে। ভালো পারফরম্যান্স করলেও ফিটনেস দূর্বলতা কারনে কোচ কিংবা অধিনায়কের করার থাকে না কিছু।
বাংলাদেশ ক্রিকেট জিপিএস প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করছে এ মাসেই। বিশ্বকাপের আগে ফিটনেস ইস্যুতে সমস্যা না থাকলে স্বপ্ন পূরণে এক ধাপ এগিয়ে যাবে দলটি। ইনজুরিমুক্ত একটি দল,বিশ্বকাপ জেতার বড় দাবিদার সবসময়। এমন পরিকল্পনায় যারা যুক্ত তাদের ধন্যবাদ জানানো উচিত নিশ্চয়ই।