ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে শ্রীলঙ্কার জন্য। এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হওয়ার পর বিশ্বকাপেও ৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি। মোহাম্মদ সিরাজ, শামিদের বল খেলতেই পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা; একের পর এক আউটসুইং, ইনসুইংয়ে নিজেদের উইকেট দিয়ে এসেছেন অসহায়ভাবে।
অথচ একই পিচে ভারত কি অনায়াসে রান করেছে। শুরুর দিকে মাধুশাঙ্কা, রাজিথা কিছুটা চাপ সৃষ্টি করলেও সময়ের সাথে ব্যাটারদের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছিল। শুভমান গিলের ৯২, বিরাট কোহলির ৮৮ আর শ্রেয়াস আইয়ারের ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৩৫৭ রান করেছিল স্বাগতিকরা।
দুই ইনিংসে মুদ্রার দুই পিঠ দেখা গিয়েছে – আর সেটির সূত্র ধরে এবার নতুন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা। তাঁর মতে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ভারতকে ভিন্ন বল সরবরাহ করে, সেজন্যই নাকি এমন পারফরম্যান্স দলটির বোলারদের।
শুধু তাই নয়, ডিআরএসেও সুবিধা পায় রোহিত, কোহলিরা; এমন দাবিও করেছেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভারতকে সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই পাকিস্তানি।
সত্যি বলতে ভারতের পেসাররা যেভাবে বোলিং করছেন তাতে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। জাসপ্রিত বুমরাহ সাত ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট, আর সিরাজের সংগ্রহ নয়টি। আর শামি তো অন্য উচ্চতায় রয়েছেন; মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই শিকার করেছেন ১৪টি উইকেট।
এমন পরিসংখ্যানে মনে হতেই পারে তাঁরা বুঝি ভিন্ন কোন বল কিংবা ভিন্ন কোন পিচে বল করছেন। কিন্তু এমন মনে হওয়াকেই আপনি যখন সত্য ভেবে অভিযোগ করে বসবেন তখন হাসি থামানোর উপায় কই। ক্রিকেটভক্তরাও পারেনি, তাই তো বিশ্ব জুড়ে হাসান রাজার এসব মন্তব্য নিয়ে হাসাহাসি চলছে।
বাদ যাননি আকাশ চোপড়ার মত ক্রিকেট বিশ্লেষকও; টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘এটা কি সিরিয়াস ক্রিকেট শো? যদি না হয়, অনুগ্রহ করে কোথাও ইংরেজিতে স্যাটায়ার কমেডি উল্লেখ করুন। এটা হয়তো ইতিমধ্যেই উর্দুতে লেখা আছে কিন্তু আমি এটি পড়তে পারছি না।’