টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দ্বিতীয় দিন শেষেই ভারতের হার দেখে ফেলেছিলেন বেশির ভাগ মানুষ। তৃতীয় দিন শেষে অজিদের লিড যখন ২৯৬ রান তখন ভারতের এই টেস্ট বাঁচানোর সম্ভাবনা যে খুব বেশি একটা নেই সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
তবে তৃতীয় দিনে আট নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করে ভারতের ফলো অন এড়ানোয় বড় ভূমিকা রাখা শার্দুল ঠাকুর অবশ্য মনে করেন এখনো সব আশা শেষ হয়ে যায়নি ভারতের।
দ্বিতীয় দিন শেষে ভারত বেশ বাজে অবস্থায়ই ছিলো বলতে হবে। তবে তৃতীয় দিন আজিঙ্কা রাহানে ও শার্দুল ঠাকুরের ব্যাটে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে নেমেও প্রথম ইনিংসের চেয়ে তুলনামূলক ভালো বোলিংই করেছেন ভারতের বোলাররা। তাই পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল এখনো আশা দেখছেন প্রথমবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার।
তৃতীয় দিন শেষে শার্দুল বলেন, ‘ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আপনি কখনোই এমন একটা ম্যাচের জন্য ভালো টার্গেট কি হবে সেটা বলতে পারবেন না। বিশেষ করে এটা যখন আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল। আমার মতে যারা চাপ ভালোভাবে সামলাতে পারবে তারাই এগিয়ে থাকবে। একটা ভালো পার্টনারশিপ হলেই ৪৫০ বা এর বেশি রান তাড়াও করা সম্ভব।’
ইংল্যান্ডের মাটিতে অতীত রেকর্ড থেকেও অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার, ‘গত বছর ইংল্যান্ড এখানে ৪০০ রান তাড়া করে জিতেছে এবং খুব বেশি উইকেটও তারা হারায়নি। এটা আমাদের জন্য একটা ভালো দিক। তারা যত রানের টার্গেটই আমাদের দিক না কেন, এত তাড়াতাড়ি কোনো প্রেডিকশন করা ঠিক হবে না। টেস্ট ক্রিকেটে এক ঘন্টার মধ্যে খেলা ঘুরে যেতে দেখেছি আমরা। তাই আমরা আশাবাদী হয়েই খেলতে নামব।’
চতুর্থ আর পঞ্চম দিনের পিচ ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে বলেও জানান ঠাকুর, ‘যেখান থেকে বল বেশি বাউন্স করছে সেই ফাটলের চারদিকে আবার একটু ঘাসও আছে। ওই লেন্থে বল পড়লে ব্যাটাররা সেই বল সহজে ছাড়তেও পারছে না। আজকে আমরা দেখেছি অনেকগুলো বলই নিচু হয়ে আসছে। তাই ব্যাটাররা গুড লেন্থে পড়া বল গুলো দ্রুত দেখে ছাড়তেও পারছে না।’
প্রথম ইনিংসে ভারতের বোলারদের পরিকল্পনার ঘাটতি দেখছেন অনেকে। তবে তাদের সাথে সমালোচনা অনেকটা মাথা পেতে নিলেন শার্দুল, ‘আমার মনে হয়েছে প্রথম ইনিংসের প্রথম দিকেই যদি আমরা শার্দুলকে বাউন্সার করতাম তাহলে হয়তো আমরা সাহায্য পেতাম, হেডকে আউট করতে পারতাম। আমরা কিছু সময়ের জন্য বাউন্সার করেছিলাম তাকে, তবে সেখানে সে আউট হবার হাত থেকে বেঁচে গেছে।’