সেমিফাইনালের প্রস্তুতি শতভাগ হলো ভারতের

সেমিফাইনালের আগে শেষ ম্যাচ, ভারতের জন্য তাই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লড়াইটা ছিল নিজেদের জ্বালিয়ে নেয়ার সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কোন ছাড় দেয়নি রোহিত শর্মার দল; ডাচদের ৪০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে পিষ্ট করে ১৬০ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে তাঁরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নেদারল্যান্ডসের ওপর আধিপত্য দেখাতে শুরু করেন ভারতীয় ওপেনাররা। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল পাওয়ার প্লেতেই তোলে ৯১ রান; ব্যক্তিগত ফিফটিও পূর্ণ করেন দুজনে তবে কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। গিল ৫১ আর রোহিত ৬১ করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলির চিত্রও একই, ৫১ রানে আউট হয়েছেন তিনি।

কোহলি যখন মাঠ ছাড়ছিলেন দলের রান তখন ২৮.৪ বলে ২০০। এরপর আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার; এই দুজনের জুটি স্রেফ উড়িয়ে দেন ডাচ বোলারদের সব প্রতিরোধ। তাতেই আরো ২০৮ যোগ হয় ভারতের স্কোরবোর্ডে, আর এতে প্রয়োজন হয়েছে মাত্র ১২৭ বল।

শেষ ওভারে রাহুলকে আউট করে ম্যারাথন জুটি ভাঙেন ডি লিড, ততক্ষণে অবশ্য ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন এই ডানহাতি। অন্যপ্রান্তে আইয়ার অবশ্য অপরাজিত থেকেছেন শেষপর্যন্ত, তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৯৪ বলে ১২৮ রান। উপরের পাঁচ ব্যাটারের পপঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে ভর করে ভারতও পেয়েছে পাহাড়সম পুঁজি।

রান তাড়ায় প্রথমেই ওপেনার বারেসিকে হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে অভিজ্ঞ ম্যাক্স ও’ডউড আর আকারম্যান লড়াই চালিয়ে যান ভারতের পেসত্রয়ীর বিরুদ্ধে। কিন্তু স্পিনারদের সামনে টিকতে পারেননি তাঁরা; ফলে ৭৭ রানে ডাচদের তিন উইকেটের পতন ঘটে।

এরপর অবশ্য আর বড় জুটি দেখা যায়নি ডাচ ইনিংস। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস, ডি লিড সেট হয়েও পারেননি বলার মত রান করতে। যদিও সাইব্রান্ড এঞ্জেলব্রেখট ৮০ বলে ৪৫ রান করেছেন। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারকে সঙ্গী করে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন তেজা নিদামানুরু।

তাঁর অর্ধশতকের কল্যাণে ২০০ রানের গন্ডি পেরুতে পেরেছিল কমলা জার্সিধারীরা। তবে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে ৫৪ রান করেই থামেন এই ব্যাটার আর নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫০ রান। মজার ব্যাপার, এদিন শুভমান, সুরিয়ার মত তারকাদের বল হাতে দেখা গিয়েছে আবার রোহিত, কোহলিরা উইকেটও পেয়েছেন একটি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link