ইন্টার দু:স্বপ্নে কাবু ম্যানচেস্টার সিটি

আধিপত্য দেখিয়েও এক পয়েন্টের বেশি কপালে জুটলো না ম্যানসিটির, ঘরের মাঠে এমন হোঁচট নিঃসন্দেহে ভাবতে বাধ্য করবে তাঁদের - বিশেষ করে গোল আদায় করার ক্ষেত্রে হাল্যান্ডের বিকল্প কাউকে প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে তাঁর অফ ফর্মের দিনে প্রতিবার এভাবেই মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হবে দলকে।

শট নেয়ার সুযোগ ছিল রিকো লুইসের সামনে, কিন্তু তিনি বল বাড়িয়ে দিলেন ডানে থাকা জেরেমি ডকুর দিকে, এরপর ডকুর ক্রস আর গুন্দোয়ানের হেডার – না, গোল হয়নি; সামান্যতম ব্যবধানে বল উড়ে গিয়েছে গোলবারের উপর দিয়ে। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচের গল্পটা এমনই, বারবার গোলের কাছাকাছি গিয়েছে তবে ভাগ্যের শেষ সহায়তাটুকু পায়নি তাঁরা।

ঘরোয়া লিগে টানা চার জয়, অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানসিটির শুরুটা হলো মলিনভাবে। গোল মুখে গুণে গুণে ২২টা শট নিলেও জালের দেখা মেলেনি একবারও, এর মধ্যে ডি বক্সের ভিতর থেকেই ১৬টা শট নিয়েছে দলটির ফুটবলাররা কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।

৩-২-৪-১ ছকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কঠিন পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ছিল পেপ গার্দিওলার। সেই পরিকল্পনা সফলও হয়েছে, ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য দেখিয়েছে সিটিজেনরা। এক্সপেক্টেড গোল (এক্সজি) ২.৪৫ সেটারই সাক্ষ্য দেয়; অন্যদিকে, ইন্টার মিলানের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা মাত্র ০.৫৩! আবার প্রতিপক্ষের বক্সে তাঁদের টাচ ৪৮টি, সেখানে ইন্টারের স্রেফ ১২!

চার মিনিটের সময় গোলের প্রথম সুযোগ এসেছিল ম্যানসিটির জন্য; এরপর ম্যাচের বাকি সময় আর্লিং হাল্যান্ড, ফিল ফোডেনরা গোলের ঘ্রাণ পেয়েছেন অনেকবার কিন্তু ঠিকঠাক লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেননি। কখনও ভাগ্যের কারণে, কখনও আবার চীনের মহা প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইয়ান সমার।

অবশ্য ম্যাচ একেবারে একতরফা হয়েছে বললে ভুল হবে, এডারসন ময়েসেসকেও পড়তে হয়েছে কঠিন পরীক্ষার মুখে। তবে মার্কাস থুরাম বা লাউতারো মার্টিনেজদের প্রতিবার হতাশ করেছেন তিনি।

আধিপত্য দেখিয়েও এক পয়েন্টের বেশি কপালে জুটলো না ম্যানসিটির, ঘরের মাঠে এমন হোঁচট নিঃসন্দেহে ভাবতে বাধ্য করবে তাঁদের – বিশেষ করে গোল আদায় করার ক্ষেত্রে হাল্যান্ডের বিকল্প কাউকে প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে তাঁর অফ ফর্মের দিনে প্রতিবার এভাবেই মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হবে দলকে।

Share via
Copy link