ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪ তম আসর আবার শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টে বাকি অংশ। আজ বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) বিশেষ সাধারণ সভায় এই সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইপিএল আয়োজনের জন্য এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাথে আলোচনা করেই সিদ্বান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো চুক্তি হয়নি দুই বোর্ডের। তবে ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ নিশ্চিত করেছে আইপিএলের বাকি ৩১ টি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতেই অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে চলতি মাসের ৪ তারিখে স্থগিত ঘোষণা করা হয় আইপিএলের ১৪তম আসর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই জন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্থগিত করা হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ। করোনা পজেটিভ হন চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার এবং সদস্যরা।
আজকের সভায় বিশ্বকাপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভারতে। কিন্তু ভারতে করোনা পনিস্থিতি খারাপ হওয়াতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা।
বিশ্বকাপ ভারতেই আয়োজন করতে আইসিসির কাছে আরো কিছু দিন সময় চেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থঅ বিসিসিআই।
আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়েজন করলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বত্ব সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দিতে চায়না বিসিসিআই। সেই সাথে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টুর্নামেন্ট অদল বদল করতেও রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিসিসিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার ধিরাজ মালহোত্রা জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। খারাপ পরিস্থিতিতে কি করবে, ও ভালো পরিস্থিতে কি হবে সবই অবহিত করা হচ্ছে আইসিসিকে। তবে তিনি আশাবাদী বিশ্বকাপ ভারতেই আয়োজন করতে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও ছিল ভারত। ঐ বিশ্বকাপে মোট পাঁচটি ভেন্যুতে খেলা হয়েছিলো। এবার ঐ পাঁচ ভেন্যুর সাথে যোগ হয়েছে আরো চার ভেন্যু। বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারণ করা ৯ টি ভেন্যু হলো মুম্বাই, কলকাতা, লক্ষ্মৌ, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, ধর্মশালা ও হায়দ্রাবাদ। বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল আইসিসি। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি ঐ আসর।