কোটি কোটি টাকাই আইপিএলের একমাত্র অর্জন

গত সপ্তাহে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতের নাস্তানাবুদ হবার পর যেন নড়েচড়ে বসেছে ভারতের ক্রিকেট। জাতীয় দল থেকে শুরু করে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো, আলোচনা হচ্ছে এর সব নিয়েই। এক দশক ধরে কোনো আইসিসি ট্রফি না জেতাটা বিরাট এক ব্যর্থতা হয়েই এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের জন্য।

টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ফাইনালে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর ভারতের কোচ ও অধিনায়ক বদলেরও রব উঠেছে ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়। সবচেয়ে বেশি যেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হলো আইপিএলের কারণে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মত মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ভারতের যথাযথ প্রস্তুতি না হবার বিষয়টি।

২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আটটি আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউটে খেলেছে ভারত। কিন্তু আটবারই তাদের সঙ্গী হয়েছে হতাশা। তাই এবছরের শেষে অনুষ্ঠিতব্য ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদটা অনেকটাই আকাশচুম্বী ভারতের জন্য।

ভারতীয় ক্রিকেটের এসব ফাঁকফোকর নিয়ে বেশ ক’দিন ধরেই সমালোচনায় মুখর ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। এবার মুখ খুললেন ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য দীলিপ ভেংসরকার। তাঁর মতে পুরো জাতীয় দল ব্যবস্থানার সাথে জড়িত সবাই মোটাদাগে ব্যর্থ বেশ কয়েকবছর ধরে।

তিনি মনে করেন, যারাই বোর্ড ও জাতীয় দল ম্যানেজমেন্টের সাথে জড়িত তারা কেউই দুরদর্শি ছিলেন না। বিরাট, রোহিতদের উত্তরসূরী হিসেবে তরুণ কাউকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে না পারার দায়ও টিম ম্যানেজমেন্টকে দেন এই সাবেক ক্রিকেটার।

ভেংসরকার বলেন, ‘সবচেয়ে দু:খজনক বিষয় হলো যে নির্বাচকদের আমি গত ছয়-সাত বছর ধরে কাজ করতে দেখছি তাদের কোনো ভিশন কিংবা ক্রিকেট নিয়ে গভীর জ্ঞানি ছিলো না কখনো। তারা শিখর ধাওয়ানকে একবার অধিনায়ক করলো যখন তাদের সুযোগ ছিলো ভারতের ভবিষ্যত অধিনায়ককে বাজিয়ে দেখা।’

শুধু জাতীয় দল নয়, পুরো ক্রিকেট কাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ভেংসরকার, ‘আপনি বলছেন তারা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড, তাহলে বেঞ্চের শক্তিটা কোথায়? তাদের শুধুমাত্র আইপিএল আছে যেটা দিয়ে তারা মিডিয়া রাইটস থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। এটাই তাদের একমাত্র অর্জন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link