বিরাট কোহলিকে বরাবরের মত তিন নম্বরে খেলানো হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হাতে থাকবে কেবল দুইজন ওপেনার, যাদের একজন তরুণ যশস্বী জয়সওয়াল। মাত্র ১৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন, আর তাঁকে রাখার জন্য বাদ দিতে হয়েছে শুভমান গিলকে। তাই তো প্রত্যাশার চাপ তাঁর উপর একটু বেশিই থাকবে।
সেই বাড়তি প্রত্যাশা পূরণে লক্ষ্যে অবশ্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন এই বাঁ-হাতি; ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিয়মিত রান করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এলিমেনেটর ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন দারুণ ভাবে। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংয়ের কল্যাণে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের ভিত পেয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।
এদিন ৩০ বলে ৪৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। আট চারে সাজানো ইনিংসটিতে হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করতে না পারলেও দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার কাজটা ঠিকই করেছেন তিনি – কেন বিশ্বকাপের সেরা পনেরোতে রাখা হয়েছে তাঁকে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর এমন পারফরম্যান্স দিয়ে।
১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে রয়েসয়েই খেলেছিলেন জসওয়াল, কিন্তু আগের ম্যাচের নায়ক ইয়াশ দয়াল আক্রমণে আসতেই আগ্রাসী হয়ে উঠেন তিনি, সেই ওভার থেকে ১৬ রান আদায় করেন। যদিও এরপর খুব একটা হাত খুলে খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে; বরং ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিংটাই করেছেন, দলকে বিনা কারণে চাপে পড়তে দেননি।
মাঝের ওভারে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে ছিলেন এই ওপেনার, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ক্যামেরন গ্রিনের বলে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েছিলেন তিনি। সেট হওয়ার পরেও এভাবে আউট হওয়া নিশ্চিতভাবেই পোড়াবে তাঁকে।
তবে এখন আর সেটা নিয়ে পড়ে থাকার সময় নেই এই তারকার হাতে, দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। সেখানে পারফরম না করার কোন বিকল্প নেই তাঁর কাছে, কেননা তাঁর কোন বিকল্প নেই স্কোয়াডে। অর্থাৎ একাকী যোদ্ধার মতই ব্যাট হাতে যুদ্ধ করতে হবে, তাই করবেন তিনি সেটাই এখন প্রার্থনা ভক্ত-সমর্থকদের।