বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করছে ভারতের ক্রিকেট। ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য আলাদা দুটি দলও ঘোষণা করেছে দেশটি। ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে। সেই দলে নিজের জায়গাও আশা করেছিলেন ভারতের পেস বোলার জয়দেব উনাদকাত।
আশা করাটা অস্বাভাবিকও নয়। এক সময় ভারতীয় দলে খেলা এই পেসার ছিলেন রঞ্জির সর্বশেষ আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। ফেরার স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন। কিন্তু ফেরা হল না তাঁর। ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করার পরেও দলে ডাক না পাওয়ায় নিজের হতাশার কথা বলেছেন গণমাধ্যমকে।
২০১৯-২০ রঞ্জি ট্রফিতে অসাধারণ এক সময় পাড় করেছেন এই বোলার। বাঁহাতি এই পেস বোলার ১০ ম্যাচে নিয়েছেন মোট ৬৭ উইকেট। তাঁর বোলিং গড় ছিল মাত্র ১৩.২৩। আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও ছিলেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবেও সৌরাষ্ট্রর হয়ে শিরোপা জয় করেন এই বোলার।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। এত ভালো পারফর্ম করেও দলে সুযোগ না পাওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন তবে তিনি এই আবেগ দিয়ে নিজেকে অনুপ্রানিত করার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ভারতীয় দলে এখন নিজের জায়গা আশা করেছিলাম। কেননা আমি আমার সবচেয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছি। আমি সেভাবেই পারফর্ম করেছি। এছাড়া টুর্নামেন্ট কমে আসায় এখন নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগও কম। তবুও আমি চেষ্টা করে যাব।’
রঞ্জির সাফল্যের পর আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন উনাদকাত। তিনি বলেন, ‘সুযোগ না পাওয়াটা অবশ্যই বেদনাদায়ক তবে আমি যেভাবে খেলছি সেভাবেই খেলে যেতে চাই। আমি আমার সেরা সময়টা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যেতে দিতে চাই না। এই আসরে যেভাবে পারফর্ম করেছি সেভাবেই পারফর্ম করে যেতে চাই। এছাড়া আমি রঞ্জি ট্রফির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলাম।’
দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় হতাশ উনাদকাত। বললেন, ‘বেশ কয়েকজন ইনজুরিতে বাদ পড়ার পরেও আমার ডাক না পাওয়াটা হতাশাজনক। হয়তো আইপিএলে আমার পারফর্মেন্স খুব একটা ভালো ছিল না বলে এমন হতে পারে। তবে আমি লাল বলে ভালো করছিলাম। হয়তো এখন নির্বাচকরা ফরম্যাটের চেয়ে সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আমার মনে হয় এই সময়ে আমি একটা সুযোগ পেতেই পারতাম।’
অসাধারণ একটি রঞ্জি আসর কাটিয়েও দলে ডাক না পাওয়ায় এভাবেই নিজের আক্ষেপের কথা বলছিলেন জয়দেব উনাদকাত। এর আগে ভারতের হয়ে মাত্র একবারই টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে তাঁর অভিষেক টেস্টই তাঁর ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট। সেই ম্যাচে উইকেট শূন্য থাকায় আর টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি এই ক্রিকেটার।
সীমিত ওভারের ক্রিকেট আরেকটু বেশি খেলেছেন। ঝুলিতে আছে সাতটা ওয়ানডে ও ১০ টা টি-টোয়েন্টি। সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে।
একটা ব্যাপার ঠিক যে ভারতীয় ক্রিকেটে এখন প্রতিভার ছড়াছড়ি। আর ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বরাবরই নতুনত্ব খোঁজে। ফলে, দল নির্বাচনে নির্বাচেকদের পড়তে হয় মধুর সমস্যায় – কাকে রেখে রাকে খেলাবেন। এর মাঝে তাই উনাদকাতের মত পারফরমাররা থেকে যান আড়ালে।