ধোনির বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করেছিলেন কোহলি!

ধোনির ছত্রছায়াতেই বিশ্বসেরা হয়ে ওঠা কোহলির। বিশ্বসেরা এই ব্যাটার নিজেও মানেন সেটা, যেকোনো সমস্যায় সাহায্য চান মাহি ভাইয়ের কাছে। তবে ভারতের সাবেক কোচ আর শ্রীধরের বই বলছে ভিন্ন কিছু। শ্রীধর লিখেছেন কোহলি সাদা বলের অধিনায়কত্ব পাবার জন্য ধোনির বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করছিলেন।

বিরাট কোহলির শুভাকাঙ্ক্ষীদের তালিকায় সবার উপরেই থাকবে মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কঠিন সেই দিনগুলোতে কাঁধে ভরসার হাত রেখেছিলেন অধিনায়ক ধোনি। বিরাটকে সুযোগ দিয়েছেন, সময় দিয়েছেন অঙ্কুর থেকে প্রস্ফুটিত হবার।

ধোনির ছত্রছায়াতেই বিশ্বসেরা হয়ে ওঠা কোহলির। বিশ্বসেরা এই ব্যাটার নিজেও মানেন সেটা, যেকোনো সমস্যায় সাহায্য চান মাহি ভাইয়ের কাছে। তবে ভারতের সাবেক কোচ আর শ্রীধরের বই বলছে ভিন্ন কিছু। শ্রীধর লিখেছেন কোহলি সাদা বলের অধিনায়কত্ব পাবার জন্য ধোনির বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করছিলেন।

সাবেক ক্রিকেটার এবং কোচদের নতুন বই প্রকাশের অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে থাকেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কারণ নতুন বই মানেই বিতর্কিত সব ঘটনা, ড্রেসিংরুমের নানা খুঁটিনাটি জানার মোক্ষম সুযোগ। আর শ্রীধনের সদ্য প্রকাশিত বই ‘কোচিংয়ের বাইরে: ভারতীয় ক্রিকেট দলে আমার দিনগুলি’ রীতিমত বোমাই ফাটিয়েছে।

তাঁর বইতে উঠে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুই তারকার বিরোধের কথা। সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব পাবার জন্য কোহলির মরিয়া চেষ্টা কিংবা রবি শাস্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধান, সবকিছুই উঠে এসেছে এই বইতে। রাখ ঢাক না রেখেই পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন শ্রীধর। 

বইতে তাঁর সহযোগী লেখক ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আর কৌশিক। তাঁর কাছেই শ্রীধর বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সে সময়ের ড্রেসিংরুমের অবস্থা, কোচিং স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে নতুন সংস্কৃতির পরিচয় ঘটানো সব সময় কঠিন কাজ। তবে আপনাকে কর্তৃত্ব বুঝে নিতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হবে ক্রিকেটারদের সব সময় সত্যিটা জানিয়ে দেয়া। সেটা যতই তেতো হোক না কেন।’

তবে মূল বোমাটা ফাটিয়েছেন বইয়ের ৪২ নং চ্যাপ্টারে। শ্রীধর স্মরণ করেছেন কোহলির শুরুর দিকের দিনগুলি। কোহলি তখন সবেমাত্র টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে তখনো মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজত্ব। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকে কোহলি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। সে এমন কিছু বলেছিল যা প্রমাণ করে সে তখনই তিন ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়কত্ব চায়।’

এমনকি তখন দলের মধ্যে সংঘাত তৈরির সম্ভাবনা দেখা দেয়। তখন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন খোদ ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী। কোহলিকে ডেকে তিনি বলেন, ‘দেখ বিরাট, সে তোমাকে লাল বলের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব দিয়ে দিয়েছে। তোমার তাঁকে সম্মান করতে হবে। সে তোমাকে সীমিত ওভারের অধিনায়কত্বও দেবে। কিন্তু সেটা উপযুক্ত সময়ে। তুমি যদি আজ তাঁকে সম্মান না করো, তবে কাল যখন তুমি অধিনায়ক হবে তখন তোমার সতীর্থরা তোমাকে সম্মান করবে না।’

শাস্ত্রী আরো বলেন, ‘ধোনিকে এখন সম্মান দেখাও। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ঝেড়ে ফেল। সময় হলে ধোনি নিজেই তোমাকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবে। তোমাকে অধিনায়ক হবার পেছনে ছুটতে হবে না।’

শ্রীধর জানান কোহলি শাস্ত্রীর সেই পরামর্শ মেনে নিয়েছিলেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হল সেই ঘটনার এক বছরের মধ্যেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পেয়ে যান কোহলি। শ্রীধরের ভাষায় শাস্ত্রী ছিলেন দুর্দান্ত কমিউনিকেটর, ক্রিকেটারদের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল ভীষণ ভাল। এছাড়া জাতীয় দলে বাদ পড়ার সংবাদ দেবার মত কঠিন কাজগুলোও নিজেই করতেন কোচ শাস্ত্রী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...