২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর ১৪ মাস বিশ ওভারের ম্যাচ খেলেননি বিরাট কোহলি। ২০২৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আগে তাঁর প্রস্তুতি বলতে ছিল কেবল আফগানিস্তান সিরিজ। তবে লম্বা বিরতি আর স্বল্প প্রস্তুতি তাঁকে ম্লান করতে পারেনি একটুও। টুর্নামেন্ট জুড়ে সেটিই বারবার প্রমাণ করে যাচ্ছেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন এই ব্যাটার; বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দেখিয়েছেন ক্লাসিক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। অনেক নেতিবাচক আলোচনা সত্ত্বেও কেন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রেখেছে নির্বাচকরা সেই প্রশ্নের উত্তরই বোধহয় দিয়েছেন তিনি।
এদিন মাত্র ৪৭ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন কোহলি। সাতটি চারের পাশাপাশি ছয়টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে ভর করেই ২৪১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
শুরু থেকেই হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছিলেন এই ডানহাতি; ওপেনিংয়ের সঙ্গী ফাফ ডু প্লেসিসকে দ্রুত হারালেও রক্ষণাত্মক হয়ে যাননি। পাওয়ার প্লের পর স্ট্রাইক রেট ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়া নিয়ে কত শত বিতর্ক হয়, কিন্তু পাঞ্জাবের বিপক্ষে সেই সুযোগ দেননি তিনি। তাই তো হাফসেঞ্চুরির জন্য এবার আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে, ৩২ বলে পূর্ণ হয় ফিফটি।
এরপরও এই তারকার রান ক্ষুধা মেটেনি, বরং আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। একের পর এক চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলের রান বাড়ানোর পাশাপাশি সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান, যদিও ভাগ্য সহায় হয়নি তাঁর। আট রান দূরে থামতে হয়েছে তাঁকে; তবে আক্ষেপ থাকার কথা নয় কারণ দল ততক্ষণে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।
চলতি আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ নিজের দখলে রেখেছেন কোহলি; ইতোমধ্যে ছয়শর বেশি রান করেছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই বড় ইনিংস খেলছেন তিনি। বিশ্বকাপেও তাঁর এমন ফর্ম অব্যাহত থাকবে সেটিই প্রত্যাশা সমর্থকদের; তাঁকে ঘিরেই এখন ট্রফি খরা কাটানোর স্বপ্ন দেখছে তাঁরা।