২০ ওভারের ক্রিকেটে তিনি একালের ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। অথচ, ফরম্যাট পাল্টে ৫০ ওভারে গেলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন সুরিয়াকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি যতটা বিধ্বংসী, ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনি ততটাই ব্যর্থ।
২৬ ওয়ানডেতে দুই হাফ সেঞ্চুরি আর ২৫-এর নিচে গড় – বিশ্বকাপের আগে সুরিয়াকে নিয়ে ঠিক সুখকর অবস্থায় নেই ভারত। তাই, সুরিয়ার ইস্যুতে একটু হার্ডলাইনেই যাচ্ছে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) নির্বাচক প্যানেল।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা পেলেও চাপে আছেন সুরিয়া। বলা হচ্ছে, এশিয়া কাপ হবে তাঁর জন্য বোর্ডের তরফ থেকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এখানে খারাপ পারফরম্যান্স করলে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার আশাও করতে পারবেন না সুরিয়া।
আগামী ৩০ আগস্ট মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ভারত তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে। এখান থেকেই শুরু হবে সুরিয়ার শেষ লাইফ লাইন।
দিনের পর দিন ভারতীয় দলে তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে তিনি এরই মধ্যে গ্রেট বনে গেছেন। কিন্তু, এখনো অবধি একটিও মনে রাখার মত ওয়ানডে ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। আর এটাই ভারতের দুশ্চিন্তার কারণ। এর প্রভাবটা আজকাল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও দেখা যেতে শুরু করেছে।
বিসিসিআইয়ের সূত্র বলছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে তাকে শেষ একবার এই ফরম্যাটে সুযোগ দেবে বিসিসিআই। এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও অন্যান্য বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারলে ওয়ানডে ফরম্যাটের দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
আসলে চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে বলাই ভাল। এমনিতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা একটু দেরিতে শুরু করেছেন সুরিয়া। ফলে, একবার অফ ফর্মে স্থায়ী হয়ে গেলে, তাঁর ওপর খুব বেশি বিনিয়োগ করবে না ভারতীয় বোর্ড। এখনই তাহলে, সুরিয়ার জন্য জ্বলে ওঠার শেষ সময়। সুরিয়া কি পারবেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ার বাঁচাতে?