অসম লড়াইয়ে বাংলাদেশের পরাজয়

এশিয়া কাপের আগের দু’টি মুখোমুখি লড়াইয়ে দু’বারই জয়ী দলের নাম ছিল বাংলাদেশ। আর এবার লড়াইটা দেশের মাটিতে বলে নিগার সুলতানার দল উজ্জীবিত ছিল আরও বেশি। যদিও, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য বাংলাদেশের মেয়েরা সংগ্রামই করল।

এশিয়া কাপের আগের দু’টি মুখোমুখি লড়াইয়ে দু’বারই জয়ী দলের নাম ছিল বাংলাদেশ। আর এবার লড়াইটা দেশের মাটিতে বলে নিগার সুলতানার দল উজ্জীবিত ছিল আরও বেশি। যদিও, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য বাংলাদেশের মেয়েরা সংগ্রামই করল।

বাংলাদেশ নারী দল হারল ৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পরদিনই আবারও জয়ের ধারায় ফিরল ভারতীয় দল।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারত দারুণ সূচনা পায়। দুই ওপেনার মিলে বোর্ডে জমা করেন ৯৬ রান। তাও মাত্র ১২ ওভারে। অধিনায়ক স্মৃতি মান্দানা ৩৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন শেফালি ভার্মা। এই ওপেনার ৪৪ বলে করেন ৫৫ রান। ইনিংসে ছিল দু’টি ছক্কা ও পাঁচটি চার।

তিন নম্বর ব্যাটার জেমিমাহ রড্রিগেজ শেষ অবধি টিকে থাকেন ক্রিজে। তিনি ২৪ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভারতীয় নারীরা করে ১৫৯ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন রুমানা আহমেদ। তিন ওভার বোলিং করে ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৫ রান। তবে, তার জন্য খেলেন ৯.১ ওভারে। ফলে, রান রেটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেখানেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয় বাংলাদেশ দলের।

টপ অর্ডারের তিনজনই রান পান বাংলাদেশের। ফারজানা হক ৪০ বলে ৩০ করেন। ‍মুর্শিদা খাতুন করেন ২৫ বলে ২১ রান। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২৯ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ করেন ৩৬ রান। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১০০ রানে থামে বাংলাদেশের মেয়েদের যাত্রা।

ভারত ও বাংলাদেশ – দু’দলই একদিন করে বিরতি পাচ্ছে। দু’দল আবার মাঠে নামবে আগামী ১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার। সেদিন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা আর ভারতের প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...