নিজেদের ডি বক্সের একটু সামনে বল পেলেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, এরপর খানিকটা এগিয়ে পাস দিলেন। গড়পড়তা পাস নয়, একেবারে প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে ছেদ করে যাওয়ার মত পাস – সেই পাস এসে পড়লো ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পায়ে, অত:পর কাটব্যাক এবং লুকাস ভাস্কুয়েজের গোল। স্রেফ ৮০ সেকেন্ডে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।
একাদশে জায়গা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, ম্যাচের পর ম্যাচ বসে থাকতে হয় বেঞ্চে; তবু রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভাস্কুয়েজের আনুগত্যের কোন অভাব চোখে পড়বে না কারোই। ক্লাবের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, তাই তো ঋষিমুনির মত ধ্যানমগ্ন হয়ে অপেক্ষায় থাকেন সুযোগের। আর সুযোগ পেলেই সর্বস্ব উজাড় করে দেন সফেদ জার্সিটার জন্য।
ঠিক যেমনটা দেখা গেলো ডেপোর্টিভ আলাভেসের বিপক্ষে, নব্বই মিনিট ধরে এই তারকা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মাঠে। তাঁর গোলের গল্প তো আগেই করা হয়েছে, এর পাশাপাশি করেছেন এক অ্যাসিস্টও। থ্রু পাসে যেভাবে রদ্রিগোকে ফাঁকাতে খুঁজে নিয়েছেন তা মুগ্ধকর বটে।
রদ্রিগো, ভিনিসিয়াসরা অবশ্য চিরচেনা ছন্দেই খেলেছেন এদিন। বারবার বল নিয়ে হানা দিয়েছিলেন, গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে তাঁদের ছাপিয়ে আলো কেড়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নাম্বার নাইন পজিশনে নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি।
চল্লিশ মিনিটের মাথায় জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান পাসে ডি বক্সে বলের দখল পেয়ে যান এই ফরাসি। এরপরই জোরালো শট এবং গোল; এই নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা চার ম্যাচে গোল করলেন তিনি – ঠিক এ কারণেই তাঁকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উড়িয়ে আনা হয়েছে।
যদিও শেষদিকে ম্যাচের গল্প প্রায় জমিয়ে ফেলেছিল আলাভেস। ৮৫ মিনিটে হুট করেই কার্লোস প্রোতোসেনি গোল করে বসেন, সেটার রেশ কাটতে না কাটতেই কিকে গার্সিয়া জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। পরপর দুই গোল শোধ করে বাকি সময়টা হন্যে হয়ে সমতায় ফিরতে চেয়েছে দলটি, তবে কোন বিপদ ঘটেনি আর। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।