বলে-কয়ে দলকে প্লে-অফে তুললেন মিরাজ

এতেই টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পথে বেশ বড় এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে এখন অবধি ৩৫০ এর উপরে রান আর ১০ উইকেট আছে তার নামের পাশে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং এবং দৃৎ অধিনায়ক। অলরাউন্ডারদের অলরাউন্ডার হয়ে উঠার পথে বেশ দৃপ্ত পদচ্ছাপ রেখেই আগাচ্ছেন মিরাজ।

অধিনায়ক হতে নেতৃত্বগুণ লাগে, আত্মবিশ্বাস লাগে। পারফরম্যান্স, ফিনিশিং সব লাগে। আর এর সবচেয়ে উদাহরণ চোখের সামনে। তিনি মেহেদী হাসান মিরাজ। অবলীলায় যিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে দিয়েছিলেন কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার ঘোষণা।

আর কেবল ঘোষণা দিয়েই থামেনই। সেই ঘোষণাকে বাস্তব বলে প্রমাণ করেছেন। ৫৫ বলে পাঁচ চার আর চার ছক্কায় ৭৪ রান! দলকে খাদের কিনারা থেকে নিয়ে গেলেন কোয়ালিফায়ারের মঞ্চে। দলকে যে প্লে-অফে নিয়ে যাবেন এমন ঘোষণা তিনি দুই ম্যাচ আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন।

কোয়ালিফায়ারের রেসে নেই এমনটা না, আমরা পরের ম্যাচটা(রংপুর রাইডার্স) জিতলেই তো সব ইজি হয়ে যাবে। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছেন কিনা এমন প্রশ্নে আত্নবিশ্বাসী মিরাজ এমন জবাবই দিয়েছিলেন দৃৎ কন্ঠে।

মিরাজ যখন এমন উচ্চাকাঙ্খার কথা জানান দিয়েছিলেন, তখন তার দলের পয়েন্ট মোটে ৮। রংপুরের সাথে জিতলেও বাকি থাকতো ঢাকা ক্যাপিটালস। মিরাজ যেন তাদের প্রতিপক্ষই ভাবেননি।

কথা রেখেছেন মিরাজ। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে দলকে তুলে নিলেন কোয়ালিফায়ারে। প্রমান করলেন, সেদিনের প্রেস কনফারেন্সে মিরাজের কথা উচ্চবাচ্য ছিল না। আত্নবিশ্বাসী মিরাজ শেষ থেকেই শুরু করতে জানেন। রংপুরের বিপক্ষে ব্যাট হাতে শুরুতেই ১২ বলে ২১ রানের ঝড়ো ক্যামিও খেলে দলকে বড় সংগ্রহ। শক্তিশালী রংপুরের বিরুদ্ধে দারুণ জয়ের সুখস্মৃতি টেনে আনলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জীবন-মরণ লড়াইয়েও।

ট্যাড্রিশনাল ম্যারমেরে মিরপুরের পিচ। হঠাৎ বাউন্স, কিংবা স্পিনের অবিশ্বাস্য টার্ন সবই হচ্ছিলো এই পিচে। শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পরেছিল খুলনা টাইগার্স। তবে মিরাজ যে এক কথার মানুষ। দলকে কোয়ালিফায়ারে উঠাতে যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন তিনি। তাই এতো প্রতিকূলতা মধ্যেও ৩৩ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নিলেন মিরাজ।

প্রতিপক্ষের স্পিনার নেই, এই সুযোগ বেশ ভালো ভাবেই কাজে লাগান মিরাজ। চড়াও হয়েছিলেন ঢাকার পেসারদের উপর। দূর করলেন সব ধোয়াশা, দলকে প্লে-অফে নিয়েই অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন মিরাজ।

এতেই টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পথে বেশ বড় এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে এখন অবধি ৩৫০ এর উপরে রান আর ১০ উইকেট আছে তার নামের পাশে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং এবং দৃৎ অধিনায়ক। অলরাউন্ডারদের অলরাউন্ডার হয়ে উঠার পথে বেশ দৃপ্ত পদচ্ছাপ রেখেই আগাচ্ছেন মিরাজ।

Share via
Copy link