হার্ষিত রানা আদৌ শিভাম দুবের ‘লাইক টু রিপ্লেসমেন্ট’ কি না সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সমালোচনা তো হচ্ছেই। তবে, বাস্তবতা হল, কনকাশন হিসেবে মাঠে নেমে ভারতের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন রানা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই গতিদানব ভারতের সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা, একই সাথে কনকাশন সাবের ভবিষ্যৎকেও হুমকির মুখে ফেলেছেন।
২০ তম ওভারের একদম অন্তিম মুহূর্তে গিয়ে আঘাত পান শিভাব দুবে। শেষ বলে হন রান আউট। এর আগে যা ইমপ্যাক্ট রাখার দরকার তা তিনি রেখে ফেলেছেন ৩৪ বলে করেছেন ৫৩ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে ফিরিয়েছেন মাঠে।
এরপর বল হাতে ইমপ্যাক্ট রাখলেন হার্ষিত রানা। বাস্তবতা বলে, যেটা আসলে দুবের পক্ষে রাখা সম্ভব হত না। বল হাতে আক্রমণে এসেই উইকেট নিলেন। নিজের শেষ ওভারে ফেরান বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জেমি ওভারটনকে। স্বপ্নের মত এক টি-টোয়েন্টি অভিষেক। স্টিভেন স্মিথের কনকাশন সাব হয়ে নেমে মার্নাস লাবুশেনের স্মরণীয় অভিষেকের কাছাকাছি চাইলে এটাকেও রাখাই যায়।
যদিও, এখানে যথেষ্ট সমালোচনার অবকাশ আছে। ব্যাটিং অলরাউন্ডার শিভাম দুবের কনকাশন সাব হয়ে ফাস্ট বোলার রানার মাঠে নামাটা যথেষ্ট কৌতুকের উদ্রেক করেছে পুনেতে। অবশ্য, ভারতের হাতে কোনো পথ খোলা ছিল না।
একে তো, দলে সেই অর্থে দুবের জায়গা নেওয়ার মত কেউ নেই। নিতিশ কুমার রেড্ডি ছিলেন, কিন্তু তাঁকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর কাছাকাছি ছিলেন কেবল হার্ষিত রানা। তাই সই! ম্যাচ রেফারিরও এখানে হাত পা বাঁধা। আইসিসির এই নিয়মটা ভারতের জন্য যেমন সাপেবর হয়েছে, তেমনি ইংল্যান্ডের জন্য হয়েছে আক্ষেপের কারণ। এই বিতর্কের জল আরও অনেক দূর যে গড়াবে তা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়!