একটা নতুন যুগের সূচনা হলো, একটা নতুন সূর্য উঠলো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর আকাশে। কিলিয়ান এমবাপ্পে নামক যে নক্ষত্র সুদূর ফ্রান্স থেকে নিয়ে এসেছিল তাঁরা, সেটা এখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছেছে। জানুয়ারি মাসে লা লিগার সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার তারই প্রমাণ দেয়।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন বছরের শুরুটা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট কিছুই করতে পারেননি এমবাপ্পে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে দূরতম প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি, লাস পালমাসের বিপক্ষে করেছেন জোড়া গোল। আর রিয়াল ভালাদোলিদের সাথে তো সাদা জার্সিতে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক আদায় করে নিয়েছেন।
তাতেই লিগের মাসসেরা ফুটবলারের স্বীকৃত মিলেছে; নতুন বছরের শুরুটা বোধহয় এর চেয়ে ভালভাবে করতে পারতেন না এই তারকা। অথচ মাস খানেক আগেও দুঃস্বপ্নের মাঝে ছিলেন তিনি।
এই তো গত ডিসেম্বরে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করে দলকে হারের লজ্জা উপহার দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। বলতে গেলে, লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে নতুন জীবন মোটেই ভালভাবে শুরু করতে পারেননি; সমালোচনা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছিল তাঁকে।
তবে চ্যাম্পিয়ন মেন্টালিটি থাকলে যা হয় আরকি, একেবারে বিশ্বসেরার মতই সব সমালোচনার জবাব মাঠে দিয়েছেন তিনি। কেবল যে লা লিগায় ভাল করেছেন এই স্ট্রাইকার তা কিন্তু নয়; চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রেতেও দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন মেন্টালিটি থাকলে যা হয় আরকি, একেবারে বিশ্বসেরার মতই সব সমালোচনার জবাব মাঠে দিয়েছেন তিনি।
সবমিলিয়ে সদ্য সমাপ্ত মাসে আট গোল যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠে চিরচেনা প্রাণবন্ত রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে – ফরাসি তরুণকে দলে ভেড়ানোর আগে ঠিক এটার স্বপ্ন দেখেছিল রিয়াল ম্যানেজম্যান্ট।
এখন পর্যন্ত দলটার হয়ে ৩২ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন কিলিয়ান; এখনো মৌসুম শেষ হওয়ার অনেক বাকি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অভিষেক আসরে ৩৩ গোল করার রেকর্ড ভাঙা তাই কঠিন হবে না তাঁর জন্য। সেই সাথে এক আসরে চল্লিশ গোলের মাইলফলক হাত-ছানি দিয়ে ডাকছে তাঁকে। সবশেষ ২০২১/২২ সালে করিম বেনজেমা পেরেছিল চল্লিশের গন্ডি পেরুতে। এবার কি তিনি পারবেন?