ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছেন তাওহীদ হৃদয়। এটাই খানিকটা এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে হৃদয়ের পারফরমেন্সের প্রতিচ্ছবি। তিনি নিজের ছায়া হয়ে বিচরণ করছেন ফরচুন বরিশালের জার্সি গায়ে।
এখন অবধি বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন। দশটা ইনিংসে ব্যাট করেছেন। সর্বসাকুল্যে ১৮৯ রান সংগ্রহ তার। গড় ১৮ এর আশেপাশে। স্ট্রাইকরেট ১৩০ এর ঘরে। যে পরিমাণ প্রত্যাশা তাকে ঘিরে এই পরিসংখ্যানগুলো নেই ধারেকাছেও।
এখন অবধি একটা ফিফটিরও দেখা হৃদয় পাননি। যেখানে দেশীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেই শতক রয়েছে বেশ কয়েকটি। তানজিদ হাসান তামিম, লিটন কুমার দাস, এনামুল হক বিজয়দের মত ব্যাটাররা সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এবারের আসরে।
যদিও বলা হতে পারে, হৃদয় তো ওপেনার নন। সে কথা সত্য বটে। কিন্তু ফরচুন বরিশালের হয়ে এখন পর্যন্ত চার ইনিংসে ওপেন করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেদিন ৩০ খানা বল খেলেছিলেন তাওহীদ হৃদয়।
অথচ তাকে ভাবা হয় দেশের ক্রিকেটের অন্যতম আগ্রাসী ব্যাটার। সেই আগ্রাসনের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না হৃদয়ের ব্যাটে। দশ ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র সাতটি ছক্কা হাকিয়েছেন তিনি। তারই যুব বিশ্বকাপ জয়ী সতীর্থ তানজিদ মেরেছেন ২৯টি ছক্কা।
বড্ড সাদামাটা সময়ই পার করছেন তাওহীদ হৃদয়, সেটা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাজে সময় কাটিয়ে উঠতে অনুশীলনে অবশ্য কমতি নেই তার। ডেভিড মালানের মত ব্যাটারের কাছ থেকেও মিলছে টোটকা। সামনে থেকে দেখছেন ইংলিশ ব্যাটারের অনুশীলনের খুটিনাটি। নিজেও টুকটাক তা কাজে লাগাচ্ছেন। অফফর্মের গ্যাড়াকলে কেই বা থাকতে চায় বলুন?
তাওহীদের আগ্রাসন ফেরা খুবই প্রয়োজন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের একাদশে তিনি প্রায় নিয়মিত মুখ হতে চলেছেন। তার কাছ থেকে দারুণ কিছু ইনিংসের প্রত্যাসগা নিশ্চয়ই টিম ম্যানেজমেন্টও করে। সপাটে ব্যাট চালিয়ে বাউন্ডারির উন্মাদনায় ভাসাবেন দর্শকদের, সে অপেক্ষায় যে রয়েছে সকলে- তা নিশ্চয়ই হৃদয়ের অজানা নয়।