অধিনায়কত্ব মুকুটের কাঁটা

যত দিন যাচ্ছে ততই সূর্যের আলো কমতে শুরু করেছে। তাহলে কি নেতৃত্বের বাড়তি চাপটা সামলানোর মত যোগ্য নন সুরিয়া?

ব্যাট যতদিন চলবে ততদিনই প্রতাপ আছে, যখন চলবে না – কেউ আপনাকে মনে রাখবে না। তারপরও ভারতীয় ক্রিকেট দল মনে রাখতে বাধ্য হচ্ছে সুরিয়াকুমার যাদবকে। উপায়ও নেই, কারণ তিনিই যে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই বিদায় বলেছেন রোহিত শর্মা। জানিয়েছেন, ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ময়দানে তিনি আর নেই। তাঁর জায়গায় নেতৃত্ব পান সুরিয়াকুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়া বা জাসপ্রিত বুমরাহকে সরিয়ে থার্ড বয় হিসেবে ক্লাস ক্যাপ্টেন বনে যান তিনি। কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে ততই সূর্যের আলো কমতে শুরু করেছে। তাহলে কি নেতৃত্বের বাড়তি চাপটা সামলানোর মত যোগ্য নন সুরিয়া?

গেল সাত ইনিংসে সুরিয়া স্রেফ নিজের ছায়া হয়েই ব্যাট করেছেন। আর এর শেষটা হল পুনেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডাক মেরে। সুরিয়া কেবল ভারতের জার্সিতে নয়, ইদানিং ঘরোয়া ক্রিকেটেও রান পাচ্ছেন না।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে বিজয় হাজারে ট্রফিতে চারটা লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে তিন ইনিংসের দু’টোতে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। যে ইনিংসে রান করতে পারলেন সেখানেও যোগ হল মাত্র ১৮ রান।

সুরিয়া টি-টোয়েন্টিতে এখন ব্যাটিং করে চারে। তিন নম্বর পজিশন ছেড়ে দিয়েছেন তিলক ভার্মাকে। রাজকোটে তিনে নেমেছেন, তবে ভাগ্যের বদল হয়নি। বরং চাপে পড়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিলক। ফলে, আবার চারে ফিরে এলেন পুনেতে। এবার রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গেলেন সাকিব মাহমুদের বলে।

সুরিয়ার এই ব্যাটিং ব্যার্থতা ভারতের এখন নিয়মিত ক্রাইসিস। তাঁর উইকেটটা এখন আর প্রতিপক্ষের জন্য অমূল্য নয়। এক নম্বর থেকে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ের চারে নেমে গেছেন। তিনি এখন আর প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ঈর্ষার পাত্র নন। অধিনায়কত্বটা এখানে বাড়তি চাপ নয়তো? ভাববার সময় চলে এসেছে।

তাঁর ব্যর্থতা যত বাড়ছে, ততই নগ্ন হয়ে উঠছে ভারতের মিডল অর্ডারের দূর্দশা। অথচ, ভারতীয় ম্যানেজমেন্টের কোনো হেলদোল নেই। টপ অর্ডার রানে থাকলে এই বিপর্যয় চোখে পড়ে না।

কিন্তু, যেদিন টপ অর্ডার রান পায় না, সেদিনই বিপদ। আর এই বিপদ ডেকে আনতে সুরিয়ার জুড়ি নেই। অধিনায়কই যদি বারবার দলের বিপদ ডেকে আনেন, তাহলে সামাল দেবে কে!

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link