বিশ্বকাপের লজ্জার স্মৃতি ফিরিয়ে রোনালদোর গোল

সেদিন লজ্জা পেতে হয়েছিল সিআরসেভেনকে। তবে ফুটবল বিধাতা সেই মুহূর্ত তুলে রেখেছিলেন হিসেবের খাতায়, আল রাইদের বিপক্ষে আল নাসেরের ম্যাচে আবারো দেখা গেলো প্রায় একই দৃশ্য। সতীর্থ মার্সেলো ব্রোজোভিচের ক্রস জালে জড়াতেই উদযাপনে মাতেন পর্তুগিজ তারকা। প্রথম দেখায় অবশ্য গত বিশ্বকাপের স্মৃতি উঁকি দিতে শুরু করেছিল সমর্থকদের মনে। 

পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ের বিশ্বকাপ ম্যাচটার কথা মনে আছে? ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল আদায় করে নিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে উদযাপনও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেলো ভিন্ন কিছু, ব্রুনোর ক্রস আসলে সরাসরি জালে আশ্রয় নিয়েছিল; রোনালদো লাফ দেয়া ছাড়া আর কিছু করেননি।

সেদিন লজ্জা পেতে হয়েছিল সিআরসেভেনকে। তবে ফুটবল বিধাতা সেই মুহূর্ত তুলে রেখেছিলেন হিসেবের খাতায়, আল রাইদের বিপক্ষে আল নাসেরের ম্যাচে আবারো দেখা গেলো প্রায় একই দৃশ্য। সতীর্থ মার্সেলো ব্রোজোভিচের ক্রস জালে জড়াতেই উদযাপনে মাতেন পর্তুগিজ তারকা। প্রথম দেখায় অবশ্য গত বিশ্বকাপের স্মৃতি উঁকি দিতে শুরু করেছিল সমর্থকদের মনে।

তবে এবার সেরকম কিছু হয়নি, রেফারি জানিয়ে দিয়েছেন গোলটা পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর। আর তাতেই তাঁর গোলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলো আর একটা ম্যাচ। কেবল গোল নয়, এদিন অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি; বিরতি থেকে ফিরেই নাওয়াফকে দিয়ে গোল করিয়েছেন।

এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি। আর সবশেষ দশ ম্যাচে ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে বারো গোল করেছেন তিনি। এক হাজার গোলের অতিমানবীয় ক্লাবের দিকে কি অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটছেন তিনি – ৯২১ তো হয়েই গিয়েছে, আর অল্প একটু দূর।

আর এক সপ্তাহও বাকি নেই, ক্রিশ্চিয়ানো পার করে ফেলবেন চল্লিশতম জন্মদিন। এখনি তো শরীরের চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে, চুলে পাক ধরেছে। কিন্তু ফুটবলের প্রতি তাঁর প্রেম কমেনি একটুও, গোলের জন্য তাঁর ক্ষুধা কমেনি একটুও।

রোনালদো কেন সর্বকালের সেরাদের একজন সেটার উত্তর এই ব্যাপারটাই। খেলাটার প্রতি তিনি যে প্রেম দেখিয়েছেন তাতেই তিনি হয়ে উঠেছেন শ্রেষ্ঠ প্রেমিক। এক হাজারতম গোল দিয়ে সেই প্রেমকে পূর্ণতা দিবেন পর্তুগিজ যুবরাজ?

Share via
Copy link