পাকিস্তানকে বলা হয় পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারদের মতো পেসার উঠে আসছে পাকিস্তানের মাটি থেকে। তবে স্পিনাররাও কম যান না।
সময়ের পরিক্রমায় আব্দুল কাদির, সাকলাইন মুশতাক, সাঈদ আজমলদের মতো দুর্দান্ত সব স্পিনার এসেছেন। তবে গত এক দশকে সেই ধারায় যেন একটা ভাটা পড়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটে যে সব স্পিনাররা বর্তমানে রাজ করছেন, তাদের মধ্যে নেই পাকিস্তানের একজন স্পিনারও।
শেষ এক দশকে যে পাকিস্তান থেকে তেমন রহস্যময় কোনো স্পিনার উঠে আসেনি, সেটি মানছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হকও। তবে এই খরার সময় কাটিয়ে পাকিস্তান ভবিষ্যতে যে দুর্দান্ত দুই জন স্পিনার পেতে যাচ্ছেন সেটিও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর চোখে, সেই দুই স্পিনার হতে পারেন বর্তমান সময়ের কুলদ্বীপ যাদব অথবা তাবরাইজ শামসির মতো।
এ নিয়ে পাকিস্তানের এক স্থানীয় চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসবাহ উল হক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত শেষ ১০-১২ বছরে আমরা সেই মানের স্পিনার দেখতে পাইনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুইজন স্পিনার আমার নজর কেড়েছে। ওদের মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা দেখেছি আমি। এদের একজন হলো ফয়সাল আকরাম। যে অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকে উঠে এসেছে। যদিও এখন পর্যন্ত সে তেমন সুযোগ পায়নি। তবে আমার বিশ্বাস, সে সুযোগ পেলে দারুণ কিছু করবে। আরেকজন হলো সুফিয়ান মুকিম, যে বর্তমানে পাকিস্তান শাহীনসের হয়ে খেলছে।’
ফয়সাল আর সুফিয়ান, দুজনই বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার। আর এ কারণেই মূলত তাদের মধ্যে কুলদ্বীপ , শামসির ছায়া খুঁজে পেয়েছেন মিসবাহ উল হক। যদিও এ দুই স্পিনারের কেউই এখন পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে চোখে পড়ার মতো কিছু করতে পারেননি।
তবে, পাকিস্তানের এই দলটার প্রয়োজন বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিনার। আর সেই ঘাটতি পূরণে কয়েক বছরের মাঝে এই দুই স্পিনার হতে পারেন পথের দিশারী। আর এই সময়ে পাকিস্তানের জন্য এটা খুব জরুরীও বটে।