ডাক মারা মানে শূন্য রানে আউট হওয়াটা ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। তবে, সে নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়। তবে, দেখা যায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরাই এই ‘বিপদ’-এ বেশি পড়েন।
কথাটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রেক্ষাপটে যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি বাংলাদেশের জন্যও। বাংলাদেশে সব ফরম্যাট মিলে ডাক মারার ক্রিকেটারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান।
- তামিম ইকবাল
বাংলাদেশিদের পক্ষে ক্রিকেটের সব সংস্করণে সর্ব্বোচ্চ রানের অধিকারী তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান।তিনি ক্রিকেটের সব সংস্করণে বাংলাদেশীদের পক্ষে যৌথভাবে সর্ব্বোচ্চবার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। তামিম ওয়ানডেতে ১৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। টেস্টে নয় বার এবং ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে ছয় বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন তামিম ইকবাল। তবে, এটা ঠিক যে – পরিসংখ্যানমতে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।
- মাশরাফি বিন মুর্তজা
মাশরাফি বাংলাদেশে ক্রিকেটের সেরা অধিনায়ক। আর এই কথাটা যেকোনো ফরম্যাটের জন্যই সত্য। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরার সর্ব্বোচ্চ তালিকায় একমাত্র বোলার। তামিমের সাথে সর্ব্বোচ্চ ৩৩ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের ফেরার তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন। মাশরাফি টেস্টে ১২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ওয়ানডে তে ঘটনা ঘটিয়েছেন ১৫ বার। টি-টুয়েন্টিতে ৬ বার শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। এই তালিকায় থাকা একমাত্র তিনিই নন-ব্যাটসম্যান।
- মোহাম্মদ আশরাফুল
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার বলা হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। তিনিও শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। আশরাফুল ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে মোট ৩১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। টেস্টে তার শূন্য রানে আউট হওয়ার সংখ্যা ১৬। ওয়ানডেতে ১৩ বার শুন্য রানে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন ১৩ বার। টি-টোয়েন্টিতে এই সংখ্যা ২ বার।
- মুশফিকুর রহিম
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।এখন পর্যন্ত ২৬ বার শুন্য রানে আউট হয়েছেন।টেস্টে তিনি ১১ বার শুন্য রানে আউট হয়েছেন। ওয়ানডেতে শুন্য রানে পযাভিলিয়নের পথ ধরেছেন ১০ বার। টি-টোয়েন্টিতে ছয় বার শুন্য রানে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন।
- হাবিবুল বাশার সুমন
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন নির্বাচক তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনে টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। তিনি মোট ২৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।তিনি আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি না খেলায় দুই সংস্করণ মিলে ২৫ বার শুন্য রানে ফিরেছেন। টেস্টে ৭ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন হাবিবুল বাশার। ওয়ানডেতে ১৮ বার শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন।