টাইগার জিন্দা হ্যায়!

গত আসরের বাজে ফর্মটা বয়ে বেড়াচ্ছিলেন এবারের আসরেও। ব্যাট হাতে স্বভাবসুলভ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে যেনো দেখাই যাচ্ছিলো না। ধোনি ফুরিয়ে গেছেন, সেই চিরচেনা ধোনি আর ফিরবে না - এমন বেশ কিছু সংলাপে সয়লাব ক্রিকেটভিত্তিক ভক্তদের গ্রুপ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায়। তবে, নামটা যে ধোনি! তিনি যে হারিয়ে যাবার পাত্র নন - টাইগার জিন্দা হ্যায়!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চও এই আরব আমিরাত। সেই বিশ্বকাপে ভারতের দলে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। না, খেলোয়াড় হিসেবে নয়, দলের মেন্টর হয়ে। তবে, খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁর অবস্থানটা খুব দূরে নয়, আইপিএলের মঞ্চে চেন্নাই সুপার কিংসকে ফাইনালে তুলে সেটাই প্রমাণ করলেন আবার।

গত আসরের বাজে ফর্মটা বয়ে বেড়াচ্ছিলেন এবারের আসরেও। ব্যাট হাতে স্বভাবসুলভ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে যেনো দেখাই যাচ্ছিলো না। ধোনি ফুরিয়ে গেছেন, সেই চিরচেনা ধোনি আর ফিরবে না – এমন বেশ কিছু সংলাপে সয়লাব ক্রিকেটভিত্তিক ভক্তদের গ্রুপ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায়। তবে, নামটা যে ধোনি! তিনি যে হারিয়ে যাবার পাত্র নন – টাইগার জিন্দা হ্যায়!

কথায় আছে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। সেটিই আবারো প্রমাণ করলেন ধোনি। ফিরলেন নিজের চিরচেনা রূপে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিনিশার খ্যাত ধোনি আবারো ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। তাও কিনা দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়! ফাইনালের লড়াইয়ে ব্যাট হাতে আবারো দ্যুতি ছড়ালেন এই ফিনিশার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবারের আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দু’দল – দিল্লী ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংস। ১৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ ৮ বলে প্রয়োজন ১৯ রানের! স্ট্রাইকে ছিলেন ধোনি আবেশ খানের বলে মিড অনের উপর দিয়ে মারলেন ছক্কা!

শেষ ওভারে দরকার ১৩ রানের। প্রথম বলেই মঈন আলীর উইকেট। স্বদেশিকে ক্যাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান টম কুরান। পরের ২ বলে ২ চার মেরে সমীকরণ সহজ করে দেন ধোনি। তৃতীয় বল ওয়াইডের পরের বলেই চার মেরে দলকে পৌঁছে দিলেন ফাইনালে! মানে, ‍দুই বল বাকি থাকতেই দল জয়ের বন্দরে।

অন্তিম মুহূর্তে এসে ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিওতে ধোনির ব্যাটে ফাইনালে পা দিলো চেন্নাই। ছয় বলের ইনিংসে চারটাই বাউন্ডারি। এই ফিনিশার ধোনিকেই তো খুঁজে বেড়াচ্ছিলো তার ভক্তকূল। অবশ্য তিনি যে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতায় ছিলেন সেটাও যে পুরো আসর জুড়েই দৃশ্যমান।

এবারের আসরে এখন পর্যন্ত খেলেছেন মোট ১৫ ম্যাচ। দিল্লীর বিপক্ষে ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংস বাদ দিলে বাকি ১৪ ম্যাচে তিনি মাত্র ৯৬ রান করেছেন! যা ধোনির মতো তারকা ক্রিকেটারের নামের পাশে বড্ড বেমানান। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর থেকেই উঠছিলো নানান প্রশ্ন আর মন্তব্য! এমনকি ধোনি শুধু অধিনায়ক কোটায় খেলছেন এমন ভাবেও বিভিন্ন মিডিয়ায় তাঁকে কটাক্ষ করা হয়।

পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে সুনাম কামানোর পর ক্যারিয়ারের অন্তিম মূহুর্তে এমন কটাক্ষের জবাবটা কিনা ব্যাট হাতেই দিলেন তিনি। সেই সাথে এক বার্তাও জানান দিলেন! তিনি ফুরিয়ে জাননি। ধোনি কখনোই সমালোচনার ধার ধারেননি। নিজের সেরাটা দিয়ে কিভাবে দলকে শীর্ষে নেবেন সেটার তাঁর মূল লক্ষ্য।

‘বিগ ম্যাচে’ ব্যাট হাতে ফিরলেন আর আরেকবার স্মরণ করালেন সেই চিরচেনা ধোনিকে। পুরো আসরেই ব্যাট হাতে নিজের ছায়া হয়ে নিজেকে খুঁজে বেড়ানো ধোনি কিনা প্লে অফে এসে ফিরলেন ছন্দে। তাই বলাই যায় – ‘ফুরিয়ে যাননি ধোনি’ কিংবা ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...