বাংলাদেশের জার্সিতে মুস্তাফিজুর রহমান রীতিমত অটোচয়েজ। নিজের সে জায়গা তিনিই তৈরি করেছেন। এক ঝুড়ি বিকল্প রয়েছে তার। সেই বিকল্প ব্যবহার করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও তিনি কেড়েছেন নজর। এবার চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে নিয়মিত হওয়ার দিকেই ক্রমশ ধাবিত হচ্ছেন মুস্তাফিজ।
আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে প্রায় একাই জয় এনে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান, নিয়েছিলেন চার উইকেট। সেটারই সুবাদে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে পার্পল ক্যাপ মাথায় দিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। পারফরমও করেছেন, নতুন বলে উইকেট এনে দিতে না পারলেও ডেথ ওভারে দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
চার ওভার বলে করে ৩০ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁ-হাতি; পার্পল ক্যাপ তাই আপাতত হাতছাড়া হচ্ছে না তাঁর। ব্যাটিং বোলিং দুই বিভাগেই অবশ্য গুজরাটকে এদিন উড়িয়ে দিয়েছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ে দল; হারিয়েছে ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। প্রথম পাঁচ ওভারেই তাঁরা ৫৮ রান তোলেন। ৪৬ রান করা রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে পরের ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন রশিদ খান, তবে রান তোলার গতি এতে কমেনি। হাফসেঞ্চুরি থেকে চার রান দূর থাকতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক রুতুরাজ, ততক্ষণে অবশ্য বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন দলকে।
সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন শিভম দুবে। দুইটি চারের পাশাপাশি পাঁচটি বিশাল ছক্কার মারে ২৩ বলে ৫১ রান করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ড্যারেল মিশেল অবশ্য খুব একটা আক্রমণাত্মক হতে পারেননি, তাই তো দুবের বিদায়ের পর চেন্নাইয়ের রান রেট কমে আসে খানিকটা।
শেষদিকে সামীর রিজভী, রবীন্দ্র জাদেজাদের ছোট ছোট অবদানে ২০০ রানের গন্ডি পেরোয় দলটি। ২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে গুজরাট দারুণ শুরু পায় ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটে ভর করে, কিন্তু সেটা দুই ওভার স্থায়ী হয়েছে। কেননা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন দীপক চাহার।
মুস্তাফিজ অবশ্য তুলনামূলক ম্লান ছিলেন শুরুর দিকে, প্রথম দুই ওভারেই রান আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবু জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের, অন্যান্য বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অনেক আগেই ফলাফল দলটির পক্ষে চলে আসে।
শেষদিকে আরো দুই ওভার হাত ঘুরিয়েছিলেন টাইগার পেসার। সতেরোতম ওভারে মোটে ১ রান খরচ করে নিয়েছিলেন এক উইকেট, উনিশতম ওভারে ছয় রানের বিনিময়ে আউট করেছেন রাহুল তেওয়াতিয়াকে। চেন্নাইয়ের একাদশে তাঁর জায়গা আরো নিশ্চিত হলো এমন পারফরম্যান্সের পর।