‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের হয়ে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলতে যাবেন নাকি রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লিগ (আইপিএল) খেলবেন? – এই প্রশ্নের উত্তর জানা ছিলো না স্বয়ং মুস্তাফিজুর রহমানেরও। এই পেসার নিজের আইপিএল ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উপর।
মুস্তাফিজ জানিয়েছিলেন বিসিবি অনুমতি দিলে তবেই আইপিএল খেলতে যাবেন তিনি। আর অনুমতি না দিলে খেলবেন দেশের হয়েই। অবশেষে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বিবেচনা না করে সাকিব আল হাসানের পর মুস্তাফিজকেও আইপিএল খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি।
মুস্তাফিজের এনওসি পাওয়ার বিষয়টি ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। নান্নু জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিবেচনা না করার জন্যই মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘আমরা মুস্তাফিজকে আইপিএলের জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছি। কারণ সে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াডের জন্য আমাদের বিবেচনায় নেই। এটা ভালো হয় যে সে যদি আইপিএল খেলে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে।’
আইপিএল খেলতে সাকিব আল হাসান গত ২৭ মার্ট দেশ ছাড়লেও নিউজিল্যান্ড সফরে থাকায় রাজস্থান রয়্যালসের সাথে যোগ দিতে একটু দেরি হবে মুস্তাফিজুর রহমানের। সিরিজ শেষে দুই এপ্রিল নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে ভারতের বিমান ধরবেন এই পেসার।
এক কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। এর আগেও তিন বার আইপিএল খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেললেও এবারই প্রথম বারের মতো রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলবেন তিনি।
আগের তিন আসরে ২৪ ম্যাচ খেলে ৭.৫১ ইকোনোমিতে ২৪ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে এক বার আইপিএলে শিরোপার স্বাদও পেয়েছেন মুস্তাফিজ। এর মধ্যে প্রথম আসরে হায়দাবাদের হয়ে খেলে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পান তিনি।
জানিয়ে রাখা ভাল, বিশ্বে সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএলের ১৪ তম আসর শুরু হবে নয় এপ্রিল থেকে। প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর। উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইয়ের এম. এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে।
দেড় মাসের লড়াই শেষে ৩০ মে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট গ্রাউন্ড আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টের।