নাভিনের গায়ে হাত তুলেছিলেন বিরাট?

বিরাটের অতি উদযাপনগুলো মেনে নিতে পারছিলেন না নাভিন। এক পর্যায়ে বাকযুদ্ধে জড়ান বিরাটের সাথে। তবে শুধু মাঠেই থেমে থাকেনি বিরাট ও নাভিনের সেই যুদ্ধ। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান সময় বিরাটকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ২৩ বছর বয়সী এই পেসার।

আইপিএল শেষ হয়েছে দুই সপ্তাহ হতে চললো। বিরাট কোহলি ও নাভিন উল হকের বহুল আলোচিত সেই দ্বন্দ্বের বয়সটা আরো বেশি। কিন্তু কিছুতেই যেন সেই ঘটনার রেশ এখনো যাচ্ছেই না। দ্বন্দ্বটা মূলত ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস মেন্টর গৌতম গম্ভীরের মধ্যে। কিন্তু এক দশক ধরে চলতে থাকা সেই দ্বন্দ্ব নতুন করে জীবন পাবার দিনে তাতে নতুন ভাবে জড়ান লখনৌর আফগান পেসার নাভিন উল উক।

ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌর সেই ম্যাচে শুরু থেকেই তেতে ছিলেন বিরাট। এক দশক ধরে চলা গম্ভীরের সাথে দ্বন্দ্বের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছেন মূলত বিরাটই। লখনৌর বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিপক্ষের প্রতিটি উইকেট পতনের সাথে সাথে তাদের ডাগ আউট লক্ষ্য করে অতি উদযাপনে মেতে উঠছিলেন বিরাট। গম্ভীরকে দেখানোর জন্যই যেন ছিল বিরাটের প্রতিটি উদযাপন।

বিরাটের অতি উদযাপনগুলো মেনে নিতে পারছিলেন না নাভিন। এক পর্যায়ে বাকযুদ্ধে জড়ান বিরাটের সাথে। তবে শুধু মাঠেই থেমে থাকেনি বিরাট ও নাভিনের সেই যুদ্ধ। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান সময় বিরাটকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ২৩ বছর বয়সী এই পেসার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁচা দিলেও এতদিন সরাসরি মুখ খোলেননি নাভিন। তবে এবার এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাভিন তুলে আনলেন সেদিনের পুরো ঘটনা।

নাভিন বলেন, ‘সে (বিরাট) সেদিন ম্যাচের মধ্যে এবং ম্যাচের পর যা যা বলছিল তা তার বলা উচিত ছিল না। লড়াইটা আমি শুরু করিনি। ম্যাচের পর যখন আমরা হাত মেলাচ্ছিলাম তখন বিরাটই লড়াইটা শুরু করেছে।’

পুরো ঘটনার দায় বিরাটকে দিয়ে নাভিন বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই যে আমি সাধারণত কাউকে স্লেজিং করি না। আমি যদি করিও তাহলে সেটা শুধুমাত্র বোলিং করার সময় ব্যাটারকে করি কারণ আমি একজন বোলার। সেদিনের ম্যাচে আমি একটা শব্দও বলিনি। আমি কাউকে স্লেজিং করিনি।’

 

নাভিন আরো বলেন, ‘যে খেলোয়াড়েরা সেখানে ছিল তারা জানে কিভাবে সেখানে আমি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। আমি ব্যাট করার সময় কিংবা ম্যাচ শেষে কখনো আমার মেজাজ হারাইনি। ম্যাচের শেষে আমি কি করেছি তা সবাই দেখেছে। আমি শুধু হাত মেলাচ্ছিলাম তখনই বিরাট জোর করে আমার হাত চেপে ধরলো। আমিও একজন মানুষ, তাই আমি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম।’

বিরাটের এমন আচরণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি নাভিন। ম্যাচ শেষে যখন লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল গম্ভীর-বিরাটের বাদানুবাদ থামাতে যান তখন তাকে বাঁধা দেন নাভিন। বিরাটের প্রতি নাভিনের রাগটা এতটাই ছিল। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকারে ইঙ্গিতে বারবার বিরাটের প্রতি নিজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেছেন নাভিন।

নাভিন বলেন, ‘জরিমানার পরিমাণ দেখলেই বুঝবেন ঝগড়া কে শুরু করেছিল। যদি কেউ আমাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলে তাহলে আমি ছেড়ে দেব নাম। এই ব্যাপারটি আমার মধ্যে আছে যখন থেকে অনুর্ধ্ব-১৬ আফগানিস্তান দলের হয়ে আমি খেলা শুরু করি। আমি কখনো কাউকে বাজে কথা বলি না। কিন্তু কেউ যদি আমাকে বলে তাহলে আমি চুপ করে থাকব নাম। আমি তাকে সেটা ফিরিয়ে দেব। এটাকে আপনি ভুল বলতে পারেন কিন্তু আমি এমনই।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...