লড়াইটা ছিলো তিন স্পিনারের; আরো নির্দিষ্ট করে বললে রাজশাহী বিভাগের দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও সানজামুল ইসলামের সাথে বরিশাল বিভাগের স্পিনার সোহাগ গাজীর। আর এই তিন স্পিনারের রাজত্বে দর্শক ছিলেন দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা হাফ সেঞ্চুরিই আসেনি কারো ব্যাট থেকে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চারদিনের ম্যাচে প্রথম রাউন্ডে হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে মাত্র পাঁচ সেশনেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে টানা দুই ইনিংসে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়া বরিশাল বিভাগকে ইনিংস ও ৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে রাজশাহী বিভাগ।
বিকেএসপিতে তাইজুল ইসলাম ও সানজামুল ইসলামের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল বিভাগ। প্রথম ইনিংসে এই দুই স্পিনারই শিকার করেন ৪ টি করে উইকেট। তবে বোলারদের এনে দেওয়া এই স্বস্তি বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি রাজশাহী বিভাগের।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সোহাগ গাজীর বোলিং তান্ডবে রাজশাহী বিভাগ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৫১ রানে। ৬৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন সোহাগ গাজী। ৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারো সানজামুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল বিভাগ।
বরিশাল বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন সানজামুল ইসলাম এবং ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।
রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে দিনের আরেক ম্যাচে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ভালো অবস্থানে রয়েছে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৪ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা বিভাগ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির পরেও মকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বোলিং তোপে মাত্র ২২১ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা বিভাগ। আরিফুল ইসলাম ও নাসির হোসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করেছিলো রংপুর বিভাগ। আরিফুল ইসলাম করেন ৯৭ রান এবং নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের আরেক ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানে ৬ উইকেট হারালেও শেষ বিকালে শুভাগত হোম ও আরাফাত সানি জুনিয়রের ব্যাটে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিভাগ।
দিন শেষে শুভাগতর অপরাজিত ৮৯ রান ও আরাফাতের অপরাজিত ৩৪ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিভাগ। জাকির হাসানের সেঞ্চুরি এবং জাকির আলী ও আসাদুল্লাহ গালিবের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৭০ রান সংগ্রহ করে সিলেট বিভাগ।
কক্সবাজারে দিনের অপর ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা মেট্রো। জাবেদ হোসেন ৪৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এছাড়া শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। এর আগে পিনাক ঘোষের সেঞ্চুরিতে ৪০২ রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বিভাগ।