নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পরাজিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাই হয়তো তৃতীয় ওয়ানডের জন্য তুলনামূলক শক্তিশালী দল ঘোষণা করা হয়েছে; বিশ্রাম শেষে দলে ফিরেছেন তাসকিন, শরিফুল, মুশফিকরা। এছাড়া ইনজুরি কাটিয়ে নাজমুল শান্তর প্রত্যাবর্তন ঘটেছে অধিনায়ক হিসেবে; যদিও তামিম, লিটনরা খেলবেন না শেষ ম্যাচে।
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আগে শেষ ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে অনেক বদল আসবে বাংলাদেশের একাদশে। গত দুই ম্যাচ তিন নম্বরে খেললেও এবার ওপেনিংয়ে ফিরতে পারেন তানজিদ হাসান তামিম, সেই সাথে অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আরেক তরুণ জাকির হাসানের। নিয়মিত ওপেনারদের অনুপস্থিতিতে এই দুজনই হয়তো ইনিংস উদ্বোধন করবেন।
টপ অর্ডারে নিশ্চিতভাবেই থাকবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগারদের নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্বও থাকবে তাঁর কাঁধে। চার নম্বরে খেলবেন তাওহীদ হৃদয়, আগের ম্যাচে রান না পেলেও দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি।
পাঁচ এবং ছয়ে দেখা যাবে দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। মিডল অর্ডার সামলানোর গুরু দায়িত্ব থাকবে তাঁদের ওপর। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় বড় রান করা অথবা ক্যামিও খেলা – যেকোনো কিছু করতে হতে পারে দুই ডানহাতিকে।
এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারে শেখ মেহেদী, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদের মধ্যে যেকোনো দুইজনকে খেলাবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। যদিও সাকিব আল হাসান না থাকায় নাসুমের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। আবার রিশাদ হোসেনকে সুযোগ দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ খেলা মুস্তাফিজুর রহমান শেষ ম্যাচে হয়তো থাকবেন না মূল একাদশে। তাঁর জায়গায় দেখা যেতে পারে শরিফুল ইসলামকে; এছাড়া খালেদ আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ – এই তিনজনের যেকোনো দুজন সুযোগ পাবেন মাঠে নামার।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশ তিন পেসার, দুই স্পিনার এবং সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে দল সাজাবে। ভারতের বিমান ধরার আগে নাজমুল শান্তের অধীনে শেষবারের মত নিজেদের জ্বালিয়ে নিবে টিম বাংলাদেশ; তবে জয় ভিন্ন কোন ফলাফল নিশ্চয়ই চাইবে না কেউ।