১০ এ ১০ হয়নি। হয়েছে ৭। তাতে জিম লেকার, অনিল কুম্বলেদের পাশে নামটা ওঠেনি। তবে দীর্ঘ ২৯ বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়োৎসবের মধ্যমণি হয়েছেন তিনি। তিনি নোমান আলী।
আব্দুল্লাহ শফিক, আগা সালমানদের ব্যাটিংয়ে চালকের আসনে আগেই ছিল পাকিস্তান। তবে এরপর বল হাতে লঙ্কানদের শিবিরে ত্রাস ছড়িয়েছেন নোমান আলাী। তাতেই ইনিংস ও ২২২ রানের রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজটাও জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ১৭৫ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। যা এতদিন লঙ্কানদের বিপক্ষে পাওয়া সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ছিল। কলম্বো টেস্ট দিয়ে এবার সেই জয়টিকেও ছাপিয়ে গেল পাকিস্তান৷
কলম্বো টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল আগের দিনেই। ৪১০ রানে পিছিয়ে থেকে এ দিন শুরু করেছিল লঙ্কান ব্যাটাররা। দিমুথ করুনারত্নে আর নিশান মাদুশকার উদ্বোধনী জুটিতে অবশ্য প্রতিরোধ গড়ারই ইঙ্গিত মিলেছিল। তবে নোমান বোলিং প্রান্তে আসতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যেতে শুরু করে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন আপ। মাদুশকা দিয়ে শুরু হয় সেই যাওয়া আসার মিছিল।
এরপর একে একে নোমান আলী তুলে নেন করুনারত্নে, দিনেশ চান্ডিমাল, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, সাদিরা সামারাবিক্রমা আর রমেশ মেন্ডিসের উইকেট।
নোমানের ৭ উইকেটের পর বাকি ৩ উইকেট নেন নাসিম শাহ। আর এতেই ২০০ এর আগে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ফাইফারের মধ্য দিয়ে নোমান আলীও নাম লিখিয়েছেন ইমরান খান আর সাঈদ আজমলের পাশে। ৩৭ বছর ২২২ দিন বয়সে ফাইফার পাওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বয়স্ক বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়েছিলেন ইমরান খান।
এরপর ৩৬ বছর ৩০০ দিন বয়সে দ্বিতীয় বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে ফাইফার পেয়েছিলেন সাঈদ আজমল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নোমান আলী ফাইফার পেলেন ৩৬ বছর ২৯৬ দিন বয়সে। অর্থাৎ পাকিস্তানের তৃতীয় বয়স্ক বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন নোমান আলী।
অবশ্য ৭ উইকেট নিলেও কলম্বোর এ টেস্টে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক। যিনি এই টেস্ট দিয়ে কলম্বোতে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন আগা সালমান। যিনি ৩ ইনিংসে ২২১ রানের সাথে বল হাতে ৩ টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে কলম্বোর এ টেস্টে ১৩২ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি।